[ad_1]
‘বাচ্চাদের মনে ওঁর খারাপ প্রভাব পড়বে, ওদের সামনে ওঁকে নিয়ে যাবেন না।’ ৯০-এর দশকে নাকি এমন কথাও শুনতে হয়েছে সুস্মিতা সেনকে। সম্প্রতি ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এবিষয়েই মুখ খুলেছেন সুস্মিতা সেন।
৯০-এর দশকে ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি সুস্মিতাকে ‘বদমাশ’ বলা হত। সাক্ষাৎকারে এমন প্রসঙ্গ উঠে আসলে সুস্মিতা বলেন, ‘৯০ এর দশকে এমন প্রতিক্রিয়া ছিল কারণ তখন সমাজ অনেক বেশি রক্ষণশীল, সংকীর্ণ ছিল। তাই কেউ যখন মনের কথা বলতেন এবং কিছু বলতে চেষ্টা করতেন, লোকজন মনে করতেন ওফ! ও খারাপ প্রভাব ফেলবে। আমাদের বাচ্চাদের এবং অন্য সবার সামনে ওকে নিয়ে যাবেন না।’
সুস্মিতার কথায়, ‘সেসময় আামার মতাদর্শ, আমার মন্তব্যের কারণে বহু ম্যাগাজিন তাঁদের কভারে আমার ছবি রাখতে চায়নি। আমি ওদের দোষ দিই না। কারণ, ওঁরা ওদের জায়গায় ভীষণ স্পষ্ট ছিল।’
আরও পড়ুন-Sushmita Sen: ২৮ বছরেই অভিনয় থেকে সরে যান, কিন্তু কেন? মুখ খুললেন সুস্মিতা সেন
সুস্মিতা বলেন, ‘সেসময় আমার মনে হয়েছিল আপনি যদি আমার নিজেকে প্রকাশ করার স্বাধীনতা কেড়ে নেন, তাহলে আমার আসল স্বাধীনতা কোথায়? তখন আমি আমার মনের কথা বলতে ভয় পেতাম? শিখতে চেষ্টা করতাম, সেগুলি কীভাবে আরও ভালো করে, আরও সুন্দর করে বলা যায়।’ সুস্মিতার কথায়, আজ বরং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গোটা বিশ্বের সামনে প্রত্যেকেরই নিজস্ব কণ্ঠস্বর রয়েছে, মতামত রয়েছে এবং বিশ্ব এখন অনেক বেশি গ্রহণ করতে শিখেছে। যদিও এখনও একটা দ্বিধা রয়েই গিয়েছে। তবে সেটা ৯০ এর দশকের মতো খারাপ নয়।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘তালি’ ওয়েব সিরিজে রূপান্তরকামী সমাজকর্মী গৌরী সাওয়ান্তের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুস্মিতা সেন। এই প্রসঙ্গে এর আগে সুস্মিতা বলেছিলেন, ‘এই চরিত্রের জন্য আমাকে গৌরী নিজেই বেছে নিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি যে আজ যদি একজন মহিলা হয়ে রূপান্তরকামীর চরিত্রে অভিনয় করতে পারি, তাহলে পরবর্তী সময়ে রূপান্তরকামীরাও এধরনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাবেন।’
[ad_2]