[ad_1]
দিদি নম্বর ১ হাসি মজার নানা গল্প বলুন বা জীবন সংগ্রামের গল্প সবই উঠে আসে। সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব কেউই বাদ যান না এই তালিকা থেকে। রবিবার যেমন দিদির মঞ্চে সস্ত্রীক খেলতে এসেছিলেন চার তারকা, রূপঙ্কর বাগচী, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপাঞ্জন জ্যাক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়। এদিন দিদির মঞ্চে এসে বাকিরা তাঁদের বৈবাহিক জীবনের খুনসুটি, মজার গল্প শোনালেও রূপঙ্কর বাগচী এবং তাঁর স্ত্রী কিন্তু তাঁদের ২৫ বছরের বৈবাহিক জীবনের লড়াইয়ের গল্প বললেন।
এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রূপঙ্করের স্ত্রী বলেন, ‘জীবনে নানা ওঠাপড়া আসে। কিন্তু তাও সব কিছুতেই আমি ওর পাশে ফ্রেন্ড, ফিলোজফার, গাইড হিসেবে আছি। তোমার এখানে অনেক দিদিরা আছেন যাঁরা তাঁদের জীবনের নানা লড়াইয়ের গল্প বলেন, ওঁদের গল্প শুনে মনে হয় আমার লড়াই অনেক সহজ ছিল। আসলে আমরা যখন শুরু করেছি তখন শূন্য থেকে শুরু করেছি। কী হয়ে যাবে, কোথায় পৌঁছে যাব এসব আমি অত ভাবিনি। শুধু চিন্তিত ছিলাম আমার মেয়েকে নিয়ে।’ প্রসঙ্গত কেকে-র মৃত্যুর পর বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেন গায়ক, তারপর তিনি সহ গোটা পরিবারকে পড়তে হয়ে চরম কটাক্ষের মুখে।
আরও পড়ুন: বর হিসেবে ফুল মার্কস! গুড বয় সাগ্নিকের কী কী প্রশংসা করল তাঁর স্ত্রী?
স্ত্রীর কথা শুনে কেঁদে ফেলেন রূপঙ্কর। তবে স্ত্রী তখনও বলে চলেন, ‘সময়টা খুব খারাপ গেছে, কাউকে কখনও যেন এই অবস্থায় পড়তে না হয়।’ স্ত্রীর কথায় সহমত প্রকাশ করে গায়ক বলেন, ‘সময় সত্যিই খুব কঠিন গেছে। সমাজ মাধ্যমে আমার মেয়েকে যা যা ফেস করতে হয়েছে সেটা কোনও বাবা মা চান না যে তাঁর সন্তানকে ফেস করতে হোক। কিন্তু আমি সেই সময়টা পার করে আসতে পেরেছি আমার স্ত্রী এবং কন্যার জন্য। ওরা দুজন মার দুপাশে আছে বলেই আমি এখানে আজ আছি।’
ওঠাপড়া সবটা মিলিয়ে দুজনের ২৫ বছরের বৈবাহিক জীবন কেমন কাটছে? এই প্রসঙ্গে রূপঙ্করের স্ত্রী বলেন, ‘এখনও আমরা একে অন্যের ভালো বন্ধু। মিস করি একে অন্যকে।’ গায়ক মজা করে বলেন, ‘হ্যাঁ, বিবাহবার্ষিকী যত বছরের হোক না কেন আদতে আমাদের বিয়ে এখনও হয়নি, হবে।’ এটা শুনেই সকলে হেসে ফেলেন। তাঁর স্ত্রী আরও জানান যে তাঁর অনেক দোষ ত্রুটি আছে, কিন্তু এখন আর সেগুলো পাল্টাতে চান না।
[ad_2]