[ad_1]
প্রেমিক রাহুল সিং-এর হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেকারণেই আত্মহত্যার কথা ভাবতে বাধ্য হন তিনি। বাঙালি অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু মামলায় এমনটাই জানালো মুম্বইয়ের আদালত। প্রত্য়ুষার মৃত্যু মামলায় অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিক রাহুলের মুক্তির আবেদন খারিজ করার সময় পর্যবেক্ষণে একথা জানিয়েছে আদালত।
আদালত তার অর্ডারে বুধবার স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রেমিক রাহুল সিং প্রত্যুষাকে শারীরিক, মানসিকভাবে হেনস্থা করতেন এবং রাহুলের জন্যই আর্থিক হয়রানিরও শিকার হয়েছিলেন প্রত্যুষা। এসমস্ত ঘটনা প্রত্যুষাকে ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। মুম্বইয়ের দিন্দোশি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ সমীর আনসারি গত ১৪ আগস্ট রাহুল সিংয়ের মুক্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসাবে আদালতের পর্যবেক্ষণগুলি বুধবার বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
২০১৬-র ১ এপ্রিল বছর ২৪-এর অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায় মুম্বইয়ের শহরতলি গোরেগাঁও-এর ফ্ল্যাটে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বালিকা বধূ’ তে আনন্দীর ভূমিকায় খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। মেয়ের মৃত্যুর পর অভিনেত্রীর প্রেমিক রাহুল সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেন প্রত্যুষার মা। ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেন প্রত্যুষার মা।
তবে শুধু প্রত্যুষার বাবা-মাই নন, রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন প্রত্যুষার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিকাশ গুপ্তা ও কাম্যা পাঞ্জাবি। জানা গিয়েছিল, মৃত্যুর আগে রাহুলকে শেষবারের জন্য ফোন করেছিলেন প্রত্যুষা। যদিও প্রত্যুষার সঙ্গে শেষ কথোপকথন শুনে আদালত রাহুলকে জামিন দিয়ে দিয়েছিল। পরে প্রত্যুষার আত্মহত্যা মমলায় ক্লিনচিট হাতে পেতেই কাম্যা এবং বিকাশের বিরুদ্ধে পাল্টা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। এছাড়াও রাহুলের অভিযোগ ছিল, প্রত্যুষার মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল অভিনেত্রী বাবা-মায়ের লোভ, তিনি নাকি প্রত্যুষাকে বাঁচাতেই চেয়েছিলেন।
[ad_2]