[ad_1]
বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়ায় এখন একটাই আলোচনা, রাজ-পরীমনির ঝগড়া। ঢালিউডে গুঞ্জন, রাজ-পরীমনি নাকি একে অপরের সঙ্গে মারপিট করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও প্রথমে শোনা গিয়েছিল, পরীমনির ধুম জ্বর, তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, পরে জানা যাচ্ছে অন্যকথা। পরীমনি নাকি রাজের সঙ্গে ঝগড়া করে নিজের হাত কেটে বসেছিলেন। এদিকে ফেসবুকে ‘পরী’র স্বামী শরিফুল রাজেরও একটি রক্তাক্ত মাথার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, তিনিও একই হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর মাথায় ৪টি সেলাইও পড়েছে। আর তাঁর মাথা ফাটার নেপথ্যে নাকি আবার পরীমনি।
যদিও কীভাবে রাজের মাথা ফেটেছে সেবিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। তবে জানা যাচ্ছে, রাজের মাথা ফাটার নেপথ্যে নাকি পরীমনি। আবার পরীমনিও নাকি আত্মহত্যা করার ভাবনাতেই হাত কেটেছিলেন। শোনা যাচ্ছে, যে প্রযোজক,কৌশিক হোসেন তাপসের অফিসে রাজ-পরীমনি একসঙ্গে কেক কেটেছিলেন, সেখানেই নাকি ঝগড়া হয় তাঁদের, সেই ঝগড়া মারপিটে গড়ায়। আর সেই ঝগড়া থামাতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন পরীমনির বন্ধু তমা মির্জা। তিনিও ওই একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এবার এবিষয়েই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘যুগান্তর’-এর কাছে মুখ খুলেছেন তমা। তমা বলেন, তমা জানান, তিনি জ্বর-সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, মার খেয়ে নয়। মার খেয়ে হাসপাতালে গেলে কীভাবে চেকইন করতেন! তমা জানান, তিনিও একদিন মার খেয়ে স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন। তাই কোনও মেয়েকে যদি তাঁর স্বামী মারে তাহলে তিনি সেটা দেখতে পারবেন না। তাই রাজ-পরীমনির যে ঝগড়া, মারপিটের কথা শোনা যাচ্ছে, সেটার আশেপাশে নাকি তিনি ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন তমা। তিনি জানান, রাজ-পরীমনি নাকি ১৮ অগস্ট তাঁকে দেখা করার জন্য ফোনেও করেছিলেন, বাড়িতে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। তবে তাঁর জ্বর বলে যেতে পারেননি। তারমধ্যে তাঁদের কী ঘটেছে তিনি তাই জানেন না।
তাঁর সঙ্গে হাত ধরাধরি করে পরীর ছবি পোস্ট প্রসঙ্গে তমা মির্জা জানান, হাসপাতালে তিনি যখন একপ্রকার জ্বরে অচৈতন্য, তখন পরীমনি তাঁকে হুইল চেয়ারে করে দেখতে যান। জানান, তাঁরও নাকি জ্বর, তাই ভর্তি হয়েছেন। তবে রাজের সঙ্গে ঝগড়া নিয়ে পরীমনি তাঁকে কিছুই বলেননি।
এদিকে এই মুহূর্তে পরী এবং রাজ দুজনেই নাকি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে খবর।
[ad_2]