[ad_1]
গদর-২ নিয়ে হইচই-এর মাঝে আলোচনা চলছে OMG-2 নিয়েও। অক্ষয় কুমার, পঙ্কজ ত্রিপাঠির এই ছবিটিও বক্স অফিসে বেশ ভালো ব্যবসা করছে। এই ছবিটির গল্প একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে যেটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অথচ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। এটা সক্রিয়ভাবে প্রচলিত ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছে এবং এই ছবি যৌন শিক্ষার গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেছে।
যদিও OMG-২ মুক্তির আগে কিছু কম বিতর্ক হয়নি। অনেক কাটাছেঁড়ার পর সেন্সর বোর্ড অক্ষয়ের এই ছবিকে A-সার্টিফিকেট দিয়েছে। সম্প্রতি এই ছবি তৈরিকে অক্ষয় কুমারের ভূমিকা কতটা তা নিয়ে মুখ খুলেছেন পরিচালক অমিত রাই।
আরও পড়ুন-Gadar 2-Border 2: গদর-২ এর সাফল্যের পর এবার বর্ডার-২নিয়ে আসছেন সানি, থাকছেন আর কারা?
ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত রাই বলেন, ‘অন্যান্য অভিনেতাদের চিত্রনাট্য শোনানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন দৃশ্য নিয়ে যাতে সমালোচনা না হয়, সেবিষয়েও কড়া নজর ছিল অক্ষয় স্যারের। একজন অভিনেতা এবং একজন প্রযোজক হিসাবে OMG-2 এর সঙ্গে তিনি জড়িয়ে রয়েছেন। এই ছবিতে অক্ষয়ের ভূমিকা খানিকটা ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের মতো। ছবির বেশ কিছু দৃশ্য তিনি নিজের মতো করে পরিবর্তন করেছেন। সমালোচনা এড়াতে তিনি কীভাবে কিছু দৃশ্যের শ্যুট করতে হবে তার নানা পরামর্শ দিয়েছেন অক্ষয় স্যার। উদাহরণ হিসাবে যদি আমি বলি, ছবিতে হস্তমৈথুনের দৃশ্যটি তিনি আমাকে সঠিকভাবে শুট করতে বলেছিলেন কারণ, যাতে সমালোচনা না হয়।’
অমিত রাই বলেন, সেন্সরের বিধি অনুযায়ী আপনি POCSO আইনের অধীনে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনও শিশুকে হস্তমৈথুন করতে দেখাতে পারবেন না। যখন ছবিটি সেন্সর বোর্ডে পাস হল, তখন উনি আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, ‘স্যার আমি আপনাকে বলেছিলাম কিন্তু আপনি এইভাবেই শ্যুটিংয়ের উপর জোর দিয়েছিলেন। আপনি যদি এখন এটি পরিবর্তন করতে চান তবে আপনি এটি পুনরায় শ্যুট করতে পারবেন না। কারণ, আপনার কাছে আর সময় নেই’। আসলে অক্ষয় স্যারের ৩০০ টিরও বেশি ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমি ওঁর অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি।’
প্রসঙ্গত, ‘OMG 2’ -তে দেখা যায় অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় পঙ্কজ ত্রিপাঠির ছেলে। এদিকে স্কুলের বাথরুম থেকে তাঁর এমন ভিডিয়ো নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আর সেখানেই সমস্যার সূত্রপাত। শহর ছড়ে পালিয়ে যেতে চান পঙ্কজ, আর তখন তাঁকে সাহায্য করেন আরাধ্য় দেবতা।
[ad_2]