[ad_1]
জনসাধারণের তথ্য চুরি করার জন্য হ্যাকাররা নানান হ্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে তথ্য চুরি বা হ্যাকিংয়ের নতুন আর একটি নাম হল ‘স্মিশিং’। ভারত সরকার ‘স্মিশিং’ নামে এই নতুন স্ক্যামের বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে সতর্কতা বাড়াতে নানান প্রচারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এসএমএস এবং ফিশিং এই দুটো পদ্ধতি ব্যবহার করে হ্যাকাররা এই নতুন হ্যাকিং পদ্ধতি শুরু করেছে। জনসাধারণের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারী নাম, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য – ইত্যাদি সংগ্রহ করাকে বলা হয় ফিশিং।
(আরও পড়ুন: Hinduism: ‘হিন্দুধর্ম বলে কিছু নেই,পুরোটাই ধাপ্পা!’ বিতর্ক উসকে দিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা)
স্মিশিং স্ক্যামগুলির ক্ষেত্রে হ্যাকাররা বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে থাকে যেমন – ব্যাঙ্ক, সরকারি সংস্থা বা কোনও সুপ্রতিষ্ঠিত সংস্থার নাম। এসএমএসের মাধ্যমে হ্যাকাররা এমন তথ্য প্রেরণ করে যাতে, মোবাইল ব্যবহারকারী সেই বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। হ্যাকাররা অ্যাকাউন্ট আপডেটের নামে খুব সহজেই জনসাধারণের ক্রেডিট কার্ড নম্বর ও ব্যাঙ্কের তথ্য জেনে নেয়। ভারত সরকার একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন যে, যারা এই স্মিশিং-এর শিকার হয়েছেন, তারা ১৯৩০ নম্বরে অভিযোগ করতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে আর্থিক জালিয়াতির শিকার হলে ‘cybercrime.gov.in’-এ অভিযোগ রিপোর্ট করতে পারেন।
(আরও পড়ুন: ছেলেকে লঞ্চ করে দেউলিয়া হয়েছেন! প্রযোজনায় ভয় সানির, অভিনয়েই মন দিচ্ছেন গদর ২ তারকা)
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে যে এই ধরনের জালিয়াতির থেকে বাঁচার জন্য অপরিচিত এবং সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক না করতে। আরও বলা হয়েছে যে, অপরিচিত নম্বর থেকে এসএমএস এলে সেই এসএমএস এড়িয়ে যেতে, এবং কোন অপরিচিত ব্যাক্তির কাছে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য না জানাতে।
এছাড়া সাইবার স্টকিং-এর ব্যাপারেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাইবার স্টকিং-এর ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে ভয় দেখানো হয় অনলাইনে থাকা ছবির ব্যবহার করে। এর থেকে বাঁচার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। সঠিক ভাবে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এবং সচেতনতা বোধ এই সকল ঝুঁকিগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।
[ad_2]