[ad_1]
দর্শকাসনে বসে যশ চোপড়া, রেখা, জাভেদ আখতার থেকে গৌরী খান, বিপাশা বসুরা। মঞ্চে বলিউডের কিং খান ও সইফ। এক নামী অ্যাওয়ার্ড শো হোস্টিং-এর দায়িত্বে দুই খান। আচমকাই শাহরুখ ও সইফের প্রশ্ন শুনে মেজাজ বিগড়ে যায় নীল নীতিন মুকেশের। বাদশাকে ‘শাট আপ’ বলে বসেন জনি গদ্দার খ্যাত তারকা। দেড় দশক পুরোনো সেই ভিডিয়ো মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে ভাইরাল হয়। সম্প্রতি সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন নীল।
সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কাননের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সেই রাতের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন নীল। তাঁর কথায়, ‘না মোটেই আমি শাহরুখ স্যারকে অপমান করিনি। আমি কখনই তা করতে পারি না। আমি ওঁনাকে ভালোবাসি, গোটা দেশ ওঁনাকে ভালোবাসে। উনি আমার সঙ্গে মজা করছিলেন, পালটা আমিও একটু মজা করি, আর আমরা দুজনেই সেটা ভালোভাবে জানতাম’।
সিদ্ধার্থ জানতে চান, ওই ঘটনা কি স্ক্রিপ্টেড ছিল। নীল জবাবে বলেন, ‘যদি আপনি এটা বলেন, তাহলে আমি সেটা বিশ্বাস করব। কিন্তু যদি সেটা স্ক্রিপ্টেডও হয় তাহলেও ওটা কিন্তু কাউকে অপমান করা নয়, ওখানে শুধুই ভালোবাসা রয়েছে। উনি আমাকে শুরুতে বসেছিলেন তোমার সঙ্গে একটু মজা করব। আমি পালটা প্রশ্ন করেছিলাম স্যার ঠিক কী ধরণের মজা করবেন? উনি জানান, তুমি যা ভাবছো, সেটাই করতে পারো। উনি আমাকে ছাড় দিয়েছিলেন, আমি সেইমতো যা করার করেছি। আমি কোনওদিন বয়সে বড় কোনও ব্যক্তিকে অপমান করব না। মুকেশ পরিবারের কেউই সে কাজ করবে না।’
২০০৯ সালে ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে ঘটেছিল সেই ভাইরাল ঘটনা। নীল নীতিন মুশেকের নাম নিয়ে ঠাট্টা করেন শাহরুখ। জানতে চান, তিনটের মধ্যে কোনটা তাঁর নাম আর কোনটা পদবি? বলেন, ‘স্যার আপনার তো সব কটাই তো নাম, পদবি কোথায় এখানে?’ জবাবে নীল বলেন, ‘এটা খুব জরুরি একটা প্রশ্ন, ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু আমি কি একটা কথা বলতে পারি, যদি অনুমতি দেন?’ শাহরুখের সম্মতি পেয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে আমার পক্ষে খুব অপমানজনক। আমার মনে হয়, এটা ঠিক নয়। হয়ত আপনি দেখেননি, কিন্তু আমার বাবাও এখানে উপস্থিত। আমার মনে হয় আপনারা চুপ করে যান (শাট আপ), আমি দুঃখিত’।
একই সাক্ষাৎকারে মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়াই নিয়েও মুখ খোলেন নীল। জেল ছবিতে মেথড অ্যাক্টিং করতে গিয়েই নাকি ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে পড়েছিলেন মুকেশের নাতি। ‘জনি গদ্দার’-এর পাশাপাশি ‘নিউ ইয়র্ক’, ‘সাত খুন মাফ’, ‘ওয়াজির’ ,’সাহু’র মতো ছবিতে কাজ করেছেন নীল নীতিন মুকেশ।
[ad_2]