[ad_1]
কৌন বনেগা ক্রোড়পতি-র ১৫ নম্বর সিজন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর নতুন সিজনের শুরুতেই মঞ্চে একফ্রেমে পাওয়া গেল সিনিয়র আর জুনিয়র বচ্চনকে। অমিতাভ বচ্চন সঞ্চালিত এই গেম শো-এ অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক এবং তাঁর ‘ঘুমর’ কো-স্টার সায়ামি খের ও পরিচালক আর বাল্কি। ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটেই সাজানো ‘পা’ খ্যাত পরিচালকের ছবি। এদিন হটসিটে বসা তিনজনকে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার জন্য ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন করেন অমিতাভ। সেই প্রশ্ন দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটপাড়ার। আরও পড়ুন-১১ বছরেই বলিউডে বচ্চনের নাতনি! অভিষেকের ‘ঘুমর’-এর ক্রেডিটে নাম উল্লেখ আরাধ্যার
৬ লক্ষ ৪০ হাজার পুরস্কার মূল্যের জন্য এত সহজ প্রশ্ন করা কেন হল তার উত্তর খুঁজছেন নেটিজেনরা। অধিকাংশের মতে, এটা বড্ড সোজা প্রশ্ন! কী প্রশ্ন রেখেছিলেন অমিতাভ? ২০২৩-এর আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর কোনও প্লেয়ার এক ওভাবে পাঁচটি ছয় মারার নজির গড়েন? চারটি অপশনের মধ্যে থেকে জবাব বেছে নিতে হবে। সেগুলি হল- A) আন্দ্রে রাসেল B) নীতিশ রানা C) রিঙ্কু সিং D) ভেঙ্কটেশ আইয়ার
এই প্রশ্নের সঠিক জবাব যে রিঙ্কু সিং তা বোধহয় সত্যি সকলের জানা। গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে একটি লিগ ম্যাচের শেষ ওভারে ৫টি ব্যাক টু ব্যাক ছক্কা মেরে দলকে অবিশ্বাস্য ভাবে জিতিয়ে ছিলেন রিঙ্কু সিং। ফাস্ট বোলার যশ দয়ালের বলে এই সব ছক্কা মেরেছিলেন রিঙ্কু সিং।
একজন এক্স ইউজার সেই স্ক্রিন শট শেয়ার করে লেখেন- ‘কেবিসি-র মঞ্চে ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন ৬ লক্ষ ৪০ হাজারের জন্য!’ নিমেষে ভাইরাল হয় সেই স্ক্রিনশট। একজন লেখেন- ‘হ্যাঁ, ছেলেকে জেতাতে তো হবে অমিতাভ বচ্চনকে, তবেই তো ঘরে টাকা আসবে’। অপর একজন, ‘স্ক্রিপ্টেড শো’ বলে বিদ্রুপ করেন। অনেকেই সমালোচনা করে লেখেন, এই বিরাট ধনরাশির জন্য এত সহজ প্রশ্ন করা অনুচিত।
প্রসঙ্গত, আর বাল্কির অন্য সব ছবির মতো এই ছবিরও অংশ থেকেছেন অমিতাভ। তাঁর দেখা মিলেছে ক্যামিও চরিত্রে। ক্রিকেট মাঠে ধারাভাষ্য দিতে দেখা যাবে তাঁকে। ঘুমর-এ অভিষেকের পাশাপাশি লিড রোলে অভিনয় করেছেন সায়ামি খের। ব্যর্থ-মদ্যপ ক্রিকেটার অভিষেকের হাত ধরে কীভাবে দেশের জার্সিতে খেলবার স্বপ্নপূরণ হবে এক হাত কাটা সায়ামির সেই গল্পই উঠে এসেছে ‘ঘুমর’-এ। ছোট থেকেই ক্রিকেটই সায়ামির ধ্যান-জ্ঞান। দুর্দান্ত এই ব্যাটার টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলবার সুযোগও পায়। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস! সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাত বাদ পড়ে তাঁর। অবসাদ ঘিরে ধরে তাঁকে, জীবন শেষ করে দেওয়ার চেষ্টাও করে ব্যাট হাতে না ধরতে না পারার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা সায়ামি। এরপর ব্যাট ছেড়ে একহাতে বল তুলে নেবে সে। মদ্যপ কোচের হাত ধরেই শুরু হবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
এই ছবি দেখে অঝোরে কেঁদেছেন বিগ বি। তাঁর কথায়, ‘এই ছবির অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে ক্রিকেট খেলা এবং একটি মেয়ের স্বপ্নের সঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার মধ্যেই সবটা সীমিত থাকে না, পরিবারের এফেক্ট, মায়ের প্রভাব, নিখাদ মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প হয়ে ওঠে এটা। এই গল্পের মূল আকর্ষণ এটাকে সহজ সরল ভাবে বলার ধরন। যাঁরা জয়ী হন এবং হেরে যান যাঁরা তাঁদের অন্তরের জটিল ভাবনা এখানে ফ্রেমবন্দি হয়েছে। আমরা সকলেই কম বেশি জীবনে কখনও না কখনও সেই অনুভূতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সেগুলোকে পরিচালক এখানে একদম সহজ ভাবে তুলে ধরেছেন।’
[ad_2]