[ad_1]
ক্রমশ এগিয়ে আসছে ‘ডেডলাইন’। বাড়ছে টেনশন। চার বছর আগে এই পর্যায়ে স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ায় এবার উত্তেজনা এবং উদ্বেগের মাত্রা স্বভাবতই বেশি। তারইমধ্যে ‘সফট ল্যান্ডিং’-র ক্ষেত্রে চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডারকে সবথেকে কঠিন কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে, তা নিয়ে মুখ খুললেন মহাকাশ বিশেষজ্ঞ পি কে ঘোষ। সংবাদসংস্থা এএনআইকে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আড়াআড়ি জায়গা থেকে মহাকাশযানকে লম্বালম্বি অবস্থানে নিয়ে আসার বিষয়টি (ইসরোর কাছে) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওটা কঠিন কাজ। এই সব বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে।’
রবিবার চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার বিক্রমের শেষ তথা দ্বিতীয় ‘ডিবুস্টিং’ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে মহাকাশ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘ডিবুস্টিং বা রেট্রো ফায়ারিং হল এমন একটি পদ্ধতি, যা মহাকাশযানের গতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। আপনাকে বুঝতে হবে যে প্রবল বেগে ছুটে যাচ্ছে (চন্দ্রযান-৩)। ঘণ্টায় ৬,০০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে ছুটে চলেছে। সেটা কমিয়ে প্রায় শূন্যের কাছে আনতে হবে। প্রতি সেকেন্ডে গতিবেগ এক মিটারের কাছে আনতে হবে।’
‘ডিবুস্টিং’ প্রক্রিয়ার বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘এটা (‘ডিবুস্টিং’) একটি প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মহাকাশযানকে বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়। এখন (চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার) যেখানে আছে, সেটা প্রায় বৃত্তাকার। বর্তমানে চাঁদের থেকে বিক্রমের ন্যূনতম দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এটি ডিবুস্টিং এবং কক্ষপথ পরিবর্তনের দ্বিতীয় ধাপ। অবশেষে ২৩ অগস্ট দেখা যাবে যে কী হচ্ছে।’
এমনিতে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট থেকে চন্দ্রযান ৩-র চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ধীরে-ধীরে পালকের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে আসবে ল্যান্ডার। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পর ল্যান্ডারের পেট থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার। যে রোভার পরবর্তী ১৪ দিন চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। সেই পরিস্থিতিতে আপাতত ‘সফট ল্যান্ডিং’-র উপর জোর দিচ্ছে ইসরো। যে ইসরোর দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্বও। কারণ গত সপ্তাহেই চাঁদে অবতরণের লক্ষ্য নিয়ে গেলেও চন্দ্রের জমিতে আছড়ে পড়েছে রাশিয়ার লুনা-২৫। ভেঙে গিয়েছে রাশিয়ান চন্দ্রযান।
রাশিয়ার সেই মিশনের ব্যর্থতার বিষয়ে মহাকাশ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘এটা থেকেই বোঝা গেল যে মহাকাশ অভিযানে কোনও কিছু হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। ছোটখাটো বিষয়ও যদি ঠিকমতো না হয়, তাহলে তা ভয়ংক বিপর্যয়ের রূপ নিতে পারে। ওদের জন্য খারাপ লাগছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে ওরা বলেছিল যে ২৩ অগস্ট চাঁদে অবতরণ করবে লুনা-২৫। পরবর্তীতে ওরা গতি বাড়িয়ে দেয় এবং ২১ অগস্ট চাঁদে অবতরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কক্ষপথ পরিবর্তনের সময় শনিবার কোথাও একটা গড়বড় হয়েছে।’
[ad_2]