স্পোর্টস ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মাঝে দ্বিতীয় বারের মতো বাবা হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও বাালাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গত ২৪ এপ্রিল ভক্ত সমর্থকদের সুখবর দেন সাকিবের পরিবার।
বর্তমানে পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আছেন তিনি। সেখানেই দ্বিতীয় কন্যার জন্ম হয়েছে সাকিব-শিশির দম্পতির। এতদিন পর আজ শনিবার (২ মে) মেয়ের নাম জানিয়েছেন সাকিব। ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে মেয়ের নাম জানিয়েছেন সাকিব।
নবজাতকের দুই পায়ের ছাপ সম্বলিত একটি কার্ড পোস্ট করে সাকিব লিখেছেন, গত ২৪ এপ্রিল রমজান মাসের প্রথম শুক্রবারে ফজরের ওয়াক্তে আমাদের ঘরে আরেকটি কন্যাশিশু এসেছিল। আল্লাহর পক্ষ থেকে আরেকটি আশীর্বাদ। আমরা তার নাম রেখেছি ‘ইরম হাসান’- যার অর্থ জান্নাত। কারণ আমার কন্যা সত্যিই জান্নাতের এক টুকরো।নাম জানালেও এখনো মেয়ের পুরো ছবি প্রকাশ করেননি।
২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ঢাকার হোটেল রূপসী বাংলা’য় তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। যেখানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বিভিন্ন খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন। ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শিশিরের কোলজুড়ে আসে সে প্রথম সন্তান আলাইনা হাসান অব্রি।
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ‘পোস্টার বয়’ সাকিব আল হাসান। কিছুদিন আগেই ৩৩ তম জন্মদিন পালন করেছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করা সাকিবের ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়।
২০০৯ সালে একমাত্র বাংলাদেশি অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসেন। এরপর টেস্টেও সেরা অলরাউন্ডারের আসন দখল করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের তিন বিভাগের সেরা অলরাউন্ডার হন। সূত্র: সময় টিভি
পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
তবে গত বছরের অক্টোবরের শেষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব ক্রিকেট বড় এক ধাক্কা খায়। সাকিব আল হাসানকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) । জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় এই শাস্তি দেওয়া হয় তাকে। তবে দুই বছরের মধ্যে এক বছর পুরোপুরি নিষিদ্ধ, আর বাকি এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা অর্থাৎ খেলতে পারবেন কিন্তু আবারও অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। অভিযোগ মেনে নেওয়ায় ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ফের মাঠে ফিরতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এখন পর্যন্ত ৫৬ টেস্টের ১০৫ ইনিংসে ব্যাট হাতে ৩৯.৪০ গড়ে ৩৮৬২ রান করেছেন সাকিব আল হাসান। এরমধ্যে পাঁচটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ২৪টি হাফসেঞ্চুরি। সাদা পোশাকে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ২১৭। টেস্টে ৯৫ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ২১০টি উইকেট। বোলিং গড় ৩১.১২। ১০ উইকেট পাওয়ার কীর্তি আছে দু’বার। আর ৫ উইকেট পেয়েছেন ১৮ বার।
সাকিবের ওয়ানডে ক্যারিয়ার আরো সমৃদ্ধ। ২০৬ ম্যাচ খেলা সাকিব ব্যাট করেছেন ১৯৪ ইনিংসে। ৩৭.৮৬ গড়ে করেছেন ৬৩২৩ রান। যেখানে ৯টি সেঞ্চুরি এবং ৪৭টি হাফসেঞ্চুরি আছে তার নামের পাশে। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ১৩৪। আর ২০৩ ইনিংসে বল হাতে ৩০.২১ গড় ও ৪.৪৮ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ২৬০টি উইকেট। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন দু’বার।
৭৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। ১২৩.৭৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৫৬৭ রান। রয়েছে ৯টি হাফসেঞ্চুরি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ৭৫ ইনিংসে বল করে নিয়েছেন ৯২ উইকেট। ইকোনোমি ৬.৮১।