ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: কানাডার নোভা স্কোশা অঙ্গরাজ্য পুলিশের ছদ্মবেশে হামলা চালায় বন্দুকধারী। ওই ঘটনায় মারা যায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৭ জন। এবার মৃতের সেই সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। চারদিকে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক, মৃত্যু এর মধ্যে কানাডার অঙ্গরাজ্য ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে বন্দুকধারীর গুলিতে মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কানাডিয়ানরা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস রোধে সব সরকারি বিধিনিষেধ কানাডাবাসীকে মেনে চলার বিনীত অনুরোধ করেছেন। আর করোনা ভাইরাস নিরাময়ে সব প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
করোনার তাণ্ডবের মধ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে নেমে এসেছে আতঙ্ক। চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দিনযাপন করছেন তারা। ভ্যানকুভারের বাংলাদেশি প্রবাসীসহ কানাডায় বসবাসরত সব প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন। এদিকে টরেন্টোতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যুতেও প্রবাসীরা আতঙ্কগ্রস্ত রয়েছেন।
প্রবাসী বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শরীফ সালামের মৃত্যুতে বাংলাদেশ কনস্যাল জেনারেল অফিস থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং জাতীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন। আর এ ঘটনায় কারণ সমূহ চিহ্নিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত শনিবার রাতে পুলিশের পোশাক পরে এবং ‘পুলিশের গাড়ি’ ব্যবহার করে নোভা স্কোশিয়া প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর হলিফেক্স থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরের উপকূলীয় শহর পোর্টাপিকেতে হামলা শুরু করে ওই হামলাকারী। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায় সে। হামলার দিনেই পুলিশ ৫১ বছর বয়সী হামলাকারী গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যানকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।