দৈনন্দিন লেনদেনে অজান্তেই অনেকের হাতে জাল নোট চলে আসে। বাজারে কিছু অসাধু চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নকল টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে, আর এর ক্ষতি বহন করছে সাধারণ মানুষ। তাই জাল নোট শনাক্ত করার মৌলিক কৌশল জানা এখন জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জাল টাকা ধরার নয়টি নির্ভরযোগ্য উপায় তুলে ধরেছেন, যেগুলো একটু নজর দিলেই বোঝা যায়।
প্রথমত, জাল নোট সাধারণত নতুন দেখায়। কারণ এগুলো সাধারণ কাগজে তৈরি হওয়ায় পুরোনো হলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই নতুন দেখানো টাকাই সন্দেহের তালিকায় রাখুন।
দ্বিতীয়ত, জাল নোটের প্রিন্ট সবসময় ঝাপসা হয়। আসল নোট নতুন বা পুরোনো যাই হোক, তার ছাপ থাকে স্পষ্ট ও ধারালো।
তৃতীয়ত, নোটটি হাতের মুঠোয় চেপে কিছুক্ষণ রাখলে জাল নোট সহজেই ভাঁজ পড়ে যায়। তুলনায় আসল নোট কম ভাঁজ পড়ে এবং তার টেক্সচার থাকে দৃঢ়।
চতুর্থ নির্দেশনা অনুযায়ী, একটি নতুন ১০০০, ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট এবং পুরোনো ৫০০ টাকার নোট হাতে নিয়ে তুলনা করলে পার্থক্য স্পষ্ট বোঝা যায়।
পঞ্চম সূত্রে বলা হয়েছে, নতুন নোটগুলো সোজা করে ধরলে বাম পাশে উপরে থেকে নিচ পর্যন্ত যে রেখা দেখা যায়, সেটি আসলে কোনো সাধারণ লাইন নয়। সেখানে মাইক্রোপ্রিন্টে ইংরেজিতে “Bangladesh Bank” লেখা থাকে।
ষষ্ঠত, পুরোনো ৫০০ টাকার নোটের বাম পাশে নিচের দিকে নকশার ভেতরও একইভাবে “Bangladesh Bank” লেখা থাকে, যা জাল নোটে থাকে না।
সপ্তম লক্ষণে জানা যায়, আসল টাকা দুই অংশে তৈরি এবং বিশেষ নিরাপত্তার কাগজ ব্যবহৃত হয়, যা পানিতে ভিজিয়ে দিলেও সহজে গলে যায় না। জাল নোট পানিতে লাগলেই দ্রুত ভেঙে যায়।
অষ্টমত, আসল নোটে সাধারণত খসখসে টেক্সচার থাকে, আর জাল নোট তুলনামূলক মসৃণ অনুভূত হয়।
সবশেষে, সবচেয়ে নির্ভুল পদ্ধতি হলো আল্ট্রাভায়োলেট লাইট। এই আলোর নিচে আসল নোটে বিশেষ রেডিয়াম কোটিং ঝলমল করে ওঠে, কিন্তু জাল নোটে এ ধরনের প্রতিফলন দেখা যায় না।

