ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর পল্টন–প্রেসক্লাব সড়কে বসে অবস্থান নিয়েছেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ বুধবার বেলা পৌনে একটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা। কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষকেরা সড়কে বসে অবস্থান নিলে পল্টন–প্রেসক্লাব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে গত জানুয়ারিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকেরা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়। কিন্তু ওই ঘোষণার পর এখনো কোনো প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হয়নি। এ কারণে জাতীয়করণ ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবিতে আবার সড়কে নেমেছেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা।
অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে টানা কয়েক দিন রাজধানীতে আন্দোলন করেছেন। আর এবার ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবিতে রাস্তায় নামলেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদির দশপাকিয়া থেকে আজ আন্দোলনে এসেছেন শিক্ষক নাইমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘৪১ বছর ধরে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হয়নি। সবাই নাটক করেছে। বাংলাদেশের এমন কোনো রাষ্ট্রপ্রধান নেই যে নাটক করেননি। আড়াই মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আমাদের ফাইল পড়ে আছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী মোখলেছুর রহমান জানান, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রতিহিংসার কারণে আবার তাঁদেরকে সড়কে আসতে হয়েছে। বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে জাতীয়করণের কাজটা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ২৮ জানুয়ারি কারিগরি বিভাগের যুগ্ম সচিব মাসুদুর রহমান সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেন, সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। অনেক মাস অতিবাহিত হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ তো দূরের কথা, এমপিওভুক্ত করা হয়নি। টালবাহানা শুরু হয়েছে।
গত জানুয়ারির ঘোষণা বাস্তবায়ন করে গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন এই শিক্ষকনেতা।