আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশই হতে হলো বাংলাদেশকে। একের পর এক ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার নজির স্থাপন করে হেরেছে দল। আর তাতে ৩ দিনের এদিক ওদিকে ২ বার লজ্জার রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এই দুই বছর আগেও ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে সেই বাধা ভাঙে আফগানরা। বাংলাদেশকে হারায় তাদেরই মাটিতে। এরপর থেকে আফগানিস্তানই যেন অলঙ্ঘনীয় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজদের সামনে!
২০২৩ এর পর ২০২৪ সালেও সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। আগের বছরের মতো গেল বছরও ২-১ ব্যবধানেই হেরেছিল সিরিজটা। তবে এবার ব্যবধানটা নেমে গেল আরও। ৩-০ ব্যবধানে হারতে হলো। আর তাতে এক লজ্জার নজির গড়া হয়ে যায়। আফগানদের কাছে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হয়।
এই বিস্মরণযোগ্য রেকর্ডের পথটা গড়ে দিয়েছে আরও দুই লজ্জার রেকর্ড। বাংলাদেশ অবশ্য একই রেকর্ড ভেঙেছে ২ বার।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলটা ১৯০ রান তাড়া করতে নেমে ১০৯ রান তুলেই অলআউট হয়ে যায়। আর তাতেই ভাঙা হয়ে যায় রেকর্ডটা। আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস এতদিন ছিল ১১৯। সেটা দ্বিতীয় ম্যাচে ভেঙে ফেলে দল। সে ম্যাচে আরও এক রেকর্ড ভাঙা হয়ে যায় দলের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে কম রান তাড়া করতে নেমেও ব্যর্থ হওয়ার রেকর্ড। এর আগে ২০২৪ সালের সিরিজে ২৩৬ রান তাড়া করতে নেমে পথ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এতদিন সেটাই ছিল সর্বনিম্ন। তবে সে রেকর্ডের বয়স এক বছর না পেরোতেই ভেঙে ফেলে মিরাজের দল।
তবে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার সে রেকর্ডটাও যে দুই দিন না যেতে ভেঙে যাবে, তা কে ভেবেছিল? গত রাতে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৯৩ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায়। আর তাতেই সিরিজ হারের লজ্জাটা আরও বড় হয়ে দেখা দেয় দলের সামনে।