পৃথিবীর কক্ষপথে নিরবচ্ছিন্ন সৌরশক্তি ব্যবহার করে ভালো মানের তথ্যভান্ডার (ডেটা সেন্টার) তৈরি করা সম্ভব। এসব তথ্যভান্ডার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে বিপ্লব ঘটাতে পারে। আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মহাকাশভিত্তিক তথ্যভান্ডার তৈরি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। ইতালির তুরিন শহরে অনুষ্ঠিত ‘ইতালিয়ান টেক উইক’-এ এসব কথা বলেন তিনি।
জেফ বেজোসের মতে, কক্ষপথে থাকা তথ্যভান্ডার নিরবচ্ছিন্ন সৌরশক্তিতে চলবে। মহাকাশের বিভিন্ন কাঠামো ইতিমধ্যেই স্যাটেলাইট ও টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পৃথিবীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। কক্ষপথে থাকা তথ্যভান্ডারও এআই প্রশিক্ষণ, ক্লাউড কম্পিউটিংসহ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহারের নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
বেজোস বিশ্বাস করেন, কক্ষপথে থাকা তথ্যভান্ডারের ওপর মেঘ, বৃষ্টি বা আবহাওয়াগত কোনো প্রভাব পড়বে না। আর তাই মহাকাশে গিগাওয়াট ক্ষমতার তথ্যভান্ডার তৈরির সুযোগ রয়েছে। মহাকাশে তথ্যভান্ডার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকলেও সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা সৌরশক্তি ব্যবহার করতে পারবে তথ্যভান্ডারগুলো।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উত্থানকে ইন্টারনেটের প্রাথমিক দিনগুলোর সঙ্গে তুলনা করে বেজোস জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে উন্মাদনা ও জল্পনা অনিবার্য। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সুবিধাগুলো বাস্তব ও দীর্ঘস্থায়ী। স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা থেকে শুরু করে অর্থ ও উৎপাদন পর্যন্ত শিল্পগুলোকে উন্নত করার সম্ভাবনা এ প্রযুক্তির রয়েছে। মহাকাশের তথ্যভান্ডারগুলো এআই প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে পারে।