জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফর করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম জিটিও’র মেহদি হাসানকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়া, শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার এই সাক্ষাৎকারের একটি বড় অংশজুড়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে তাঁর ভাবনা উঠে এসেছে। পাঠকদের জন্য প্রশ্নোত্তর হিসেবে হুবহু সাক্ষাৎকারের ওই অংশ তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকারের পরের অংশগুলো পরবর্তী সময় আসছে। মেহদি হাসান: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস—জিটিওতে আমার সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অধ্যাপক ইউনূস: আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মেহদি হাসান: আমরা শেষবার যখন কথা বলেছিলাম, তার পর থেকে অনেক কিছু ঘটেছে। আমার মনে হয়, আমাদের শেষ কথা হয়েছিল ২০১৭ সালে। তখন আপনি একজন সাধারণ নাগরিক ছিলেন। আপনার পরিচয় ছিল শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একজন অর্থনীতিবিদ। কিন্তু আপনি তখন একটি দেশ পরিচালনা করছিলেন না। এক বছরের কিছুটা বেশি সময় আগে, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রায় দুই দশক ধরে তিনি আপনার দেশে কার্যত একজন একনায়ক ছিলেন এবং একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁর বিদায়ে অনেকেই খুশি হয়েছিলেন। তাঁর সরকারের পতনে আপনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল? সেই দিন বা রাত সম্পর্কে আপনার কী মনে পড়ে। সেই রাতে আপনার কেমন অনুভব হচ্ছিল—ভয়, আশা, নাকি বিস্ময়?
অধ্যাপক ইউনূস: রোমাঞ্চকর, রোমাঞ্চকর। হ্যাঁ, সত্যিই। অবশেষে এটা ঘটল। এটা ছিল অসাধারণ এক খবর।
মেহদি হাসান: আপনি কি ভেবেছিলেন এমনটা ঘটবে?
মুহাম্মদ ইউনূস: না, এটা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। বিক্ষোভ চলছিল, যেমনটা আপনি বাংলাদেশে দেখতে পাবেন। কিন্তু এমন কিছু ঘটবে, তা ভাবিনি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। তিনি দেশ ছাড়ার আগে কী ঘটেছিল, তার বিস্তারিত আমি তখন জানতাম না। তবে শেষ খবরটা ছিল, তিনি চলে গেছেন। সেটি ছিল রোমাঞ্চকর।
মেহদি হাসান: গত এক বছরে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? আপনারা বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উদ্যাপন করলেন। মাত্রই প্রথম বার্ষিকী পালন করেছেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতিটা কেমন? এখনো কি আশাবাদ, রোমাঞ্চ ও আশা রয়েছে, নাকি পরিবর্তনের ধীরগতির জন্য হতাশা তৈরি হয়েছে?
অধ্যাপক ইউনূস: সবকিছুই আছে। কিছু ঘটছে এই উত্তেজনার পাশাপাশি সব মিলিয়ে হতাশাও আছে। হতাশা—কারণ, মানুষ অভিযোগ করতে ভালোবাসেন। এটা একটি সাধারণ বিষয়। তাঁরা আরও চান। প্রত্যাশার মাত্রা অনেক বেশি। তাঁরা চান সব কিছু এখনই হোক, আগামীকাল নয়। তাই যদি আজ কিছু না হয়, তাহলে আপনি ভালো নন। বিষয়গুলো এ ধরনের, তবে এটি একটি ভালো দিক। নেতিবাচক নয়। এটি কেবল উচ্চ প্রত্যাশা।
মেহদি হাসান: হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্র আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা আপনাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। ওই সিদ্ধান্তে কি আপনি অবাক হয়েছিলেন? আর আপনি কেন মনে করেন, তাঁরা আপনাকে চেয়েছিলেন, একজন অরাজনীতিক, একজন অর্থনীতিবিদ এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে বলছি—আশির কোঠায় থাকা একজন ব্যক্তিকে? তাঁরা কেন আপনাকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নিলেন?
অধ্যাপক ইউনূস: আমি অবাক হয়েছিলাম, কারণ, আমি তাদের চিনি না। কখনো তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। কখনো তাদের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। প্রথমে আমার প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের কাছে একটি বার্তা আসে যে ছাত্ররা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। তারা চায়, আপনি দায়িত্ব গ্রহণ করুন। আমি বললাম, তাদের উপেক্ষা করুন। এই আলোচনায় যুক্ত হয়েন না। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল যে এমনটা হচ্ছে না। পরদিন তারা সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কারণ, আমার সহকর্মীদের মাধ্যমে তাদের কাজটা হচ্ছিল না। তারা আমাকে কল দিয়ে সবকিছু ব্যাখ্যা করেছিল। আমি বলেছিলাম, না, অন্য কাউকে খোঁজো। আমি এর সঙ্গে জড়াতে চাই না। তিন দিন ধরে এই আলোচনা চলল। আমি এটা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছিলাম। আর তারা বারবার অনুরোধ করছিল।
মেহদি হাসান: তখন কিসের জন্য আপনি এটা করলেন?
অধ্যাপক ইউনূস: অবশেষে তারা পরিস্থিতিটা তুলে ধরল। দেখুন, ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, আত্মত্যাগ করেছে, শিশুদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আরও অনেক কিছু ঘটেছে। তারা চায়, আপনি আসুন। এ সবকিছু বাদ দিন। দেশের কী হবে? তারা খুব করে এটি চেয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তারা যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছিল। অবশেষে আমি বললাম, ঠিক আছে, তোমরা যখন এত আত্মত্যাগ করেছ, তাহলে আমি আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব। আমি দেখব তোমাদের জন্য কী করতে পারি।
মেহদি হাসান: আপনি আত্মত্যাগ ও রক্তপাতের কথা উল্লেখ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল যে গত গ্রীষ্মে ছাত্র আন্দোলনে হাসিনার দমনমূলক পদক্ষেপে আনুমানিক ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে। অবশ্যই আপনি আমার চেয়ে ভালো জানেন যে তিনি ভারতে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুরক্ষায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে বাংলাদেশে ফেরানোর জন্য আপনি বারবার অনুরোধ করেছেন। জবাবদিহির জন্য তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে আপনার আহ্বান মোদি উপেক্ষা করায় আপনি কী করেছেন? আপনি কি বিশ্বাস করেন, ভারত কখনো হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে?
অধ্যাপক ইউনূস: তারা যদি নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সম্ভবত তারা তাঁকে রেখে দেবে। যদি আইনি বাধ্যবাধকতা থেকে থাকে, যা তারা এড়াতে পারবে না, তখন পরিস্থিতিটা ভিন্ন হবে।
মেহদি হাসান: তাঁকে রাখার পেছনে ভারতের স্বার্থ কী?
অধ্যাপক ইউনূস: তারা বরাবরই তাঁকে সমর্থন করে আসছে। যাঁরা তাঁর পেছনে আছেন, তাঁরা সম্ভবত এখনো আশা করছেন যে তিনি পূর্ণ গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন, একজন বিজয়ী নেতা হিসেবে ফিরছেন।
মেহদি হাসান: নিউইয়র্ক টাইমস খবর প্রকাশ করেছে যে তিনি (শেখ হাসিনা) আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভার্চুয়্যালি বৈঠক করছেন। এটা কি আপনাকে উদ্বিগ্ন করে যে ভারত তাঁকে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে এবং আবার ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টার করছে?
অধ্যাপক ইউনূস: আমি ঠিক এভাবে কথাগুলো বলব না। তবে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে বাইরের কিছু শক্তি তাঁকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে সহায়তা করবে। আমরা সব সময় এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
মেহদি হাসান: আপনি কি মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন?
অধ্যাপক ইউনূস: আমি মোদির সঙ্গে কথা বলেছি।
মেহদি হাসান: আপনি যখন তাঁকে (শেখ হাসিনা) বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ফিরিয়ে দিতে বললেন, তখন তিনি (মোদি) কী বলেছিলেন?
অধ্যাপক ইউনূস: দুটি বিষয়। প্রথমত, আমি বলেছিলাম, আপনারা যদি তাঁকে রাখতে চান, তাঁর সঙ্গে কী করবেন, তা আমি আপনাকে বলতে পারি না। তবে এটা নিশ্চিত করেন যে তিনি আমাদের সম্পর্কে কথা বলবেন না। তিনি যেন বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে কথা না বলেন।
মেহদি হাসান: দুঃখিত, মোদি আপনাকে এ কথা বলেছিলেন, নাকি আপনি তাঁকে বলেছিলেন?
অধ্যাপক ইউনূস: আমি মোদিকে বলেছিলাম। বলেছিলাম যে অনুগ্রহ করে নিশ্চিত করেন।
মেহদি হাসান: তিনি কী বলেছিলেন?
অধ্যাপক ইউনূস: তিনি বলছিলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।
মেহদি হাসান: হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আপনার সরকার তাঁর সাবেক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে, কার্যত পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে তাদের নিষিদ্ধ করেছে। আপনার মতোই নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেন—যিনি আপনাকে খুব ভালো করেই চেনেন, তিনি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। বলেছিলেন, এটা পূর্ববর্তী সরকারের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে, যারা ক্ষমতায় এসে তাদের বিরোধীদের নিষিদ্ধ করেছিল। আপনি কেবল সেই চক্রের পুনরাবৃত্তি করছেন। অমর্ত্য সেন ও অন্যদের এ ধরনের সমালোচনার কী জবাব দেবেন আপনি?
অধ্যাপক ইউনূস: এটা ভুল সমালোচনা। কারণ, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি।
মেহদি হাসান: আমি বলছি, আপনি তো নিবন্ধন স্থগিত করেছেন?
অধ্যাপক ইউনূস: না, নিবন্ধন নয়। শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
মেহদি হাসান: এর অর্থ কী?
অধ্যাপক ইউনূস: এর অর্থ হলো, তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারবে না।
মেহদি হাসান: তাহলে আপনি মূলত, আমি বলছি, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
অধ্যাপক ইউনূস: না, না। দলটি এখনো আছে।
মেহদি হাসান: তারা কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে?
অধ্যাপক ইউনূস: না, এখন পারবে না। তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ।
মেহদি হাসান: ঠিক আছে, তাহলে এটা কীভাবে… তারা কি দল হিসেবে বৈধ?
অধ্যাপক ইউনূস: আচ্ছা, তারা দল হিসেবে বৈধ, তবে এখন কার্যক্রম স্থগিত। যেকোনো সময় এর কার্যক্রম চালু করা হতে পারে।
মেহদি হাসান: আপনি বলতে চাচ্ছেন, আপনি স্থগিতাদেশ তুলে নিতে পারেন?
অধ্যাপক ইউনূস: স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া। এটা একটা সম্ভাবনা।
মেহদি হাসান: তাহলে আপনি দলটিকে নিষিদ্ধ করেননি। আপনি শুধু বলেছেন, এখনকার জন্য তোমরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছ না।
অধ্যাপক ইউনূস: এটা ঠিক।
মেহদি হাসান: কিন্তু একটি গোষ্ঠীর মানুষকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করাটা কতটা গণতান্ত্রিক?
অধ্যাপক ইউনূস: দেখুন, নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এটা করেছে দলটির চরিত্র ও সম্ভাবনা দেখে যে তারা পুরো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে। তাই তারা ভেবেছে, এটা না করাই ভালো…
মেহদি হাসান: কিন্তু আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না যে বাংলাদেশে তাদের লাখ লাখ সমর্থক আছেন?
অধ্যাপক ইউনূস: আমি লাখ লাখ বলব না। তাদের সমর্থক আছে। কিন্তু কতজন অবশিষ্ট আছে, তা আমি জানি না। কারণ, সমর্থক এমন একটি বিষয় যে আপনি খুব ক্ষমতাধর, আমি সব সময় আপনার সামনে মাথা নত করি, কারণ, আপনি ক্ষমতাধর। আমি একজন সমর্থক হয়ে তা করছি না।
মেহদি হাসান: কিন্তু আপনি এটা অস্বীকার করতে পারেন না যে বাংলাদেশে তাদের ভোটার আছে।
অধ্যাপক ইউনূস: অবশ্যই, এটা দীর্ঘদিনের একটি দল।
মেহদি হাসান: কিন্তু এখন সেই ব্যক্তিদের কথা বলার কোনো জায়গা নেই। আপনি তাঁদের দলকে নিষিদ্ধ করেছেন। আমি বলতে চাচ্ছি, আপনি তাঁদের দলকে রাজনীতিতে অংশ নিতে বাধা দিয়েছেন।
অধ্যাপক ইউনূস: তাঁরা ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারেন। তাঁরা বৈধ ভোটার। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন। তাঁরা নিজেদেরটা বেছে নেবেন। আওয়ামী লীগের মার্কাটা সেখানে থাকবে না।
মেহদি হাসান: কিন্তু এটা কি ভালো হবে? পরিস্থিতিটা থাকা কি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে, যেখানে মানুষ বলছে, নতুন সরকার পুরোনো সরকারের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে, চক্রটা চলতেই থাকল?
অধ্যাপক ইউনূস: অন্যথায় আমরা নির্বাচন করতে পারব না। এটা যদি মোটের ওপর একটা দল হয়, একটি রাজনৈতিক দল, তারা একটি রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করছে না। তারা যে মানুষ হত্যা করেছে, সে জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেনি। এই সময়ে তারা যা যা করেছে, তার কোনো কিছুরই দায় নেয়নি—একটি বিষয়েরও না। সব সময় অভিযোগ করছে যে এর জন্য অন্য কেউ দায়ী।