দুর্নীতি মামলার আসামি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ সম্প্রতি এ আদেশ দেন।
অপর যে দুজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আদেশ হয়েছে তাঁরা হলেন এস আলম গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান।
দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক ও আদালত সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, দুর্নীতির মামলার এজাহার নামীয় আসামি সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১৬ সেপ্টেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেন দুদকের তাহাসিন মোনাবিল হক। তাতে বলা হয়, সাইফুল আলম, আবদুস সামাদ ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযাগ, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে ১০৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
এর আগে ১৩ মে সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এ ছাড়া গত ২৪ জুন সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সাইপ্রাসে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের নামে থাকা দোতলা একটি আবাসিক ভবন ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে থাকা ১৯টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এর বাইরে আরও ছয়টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে ১৭ জুন সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও ১৮০ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
গত ২৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও ৫৫৯ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। গত ২৩ এপ্রিল এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ৯ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ৬৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসেবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৭৪ কোটি ৬১ লাখ ৭ হাজার ২২১ টাকা।