জীবনের দীর্ঘ সময় যেখানে কাটিয়েছেন, সেই কুষ্টিয়াই এখন তার শেষ ঠিকানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীনের মরদেহবাহী গাড়ি। তিনি চলে গেলেন, রেখে গেলেন কালজয়ী কিছু গান আর হাজারো স্মৃতি। যে স্মৃতিতে কাতর পুরো সঙ্গীতাঙ্গন।
সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও প্রিয় মানুষটিকে চিরবিদায় জানাতে ছুটে এসেছিলেন ভক্ত-অনুরাগীরা। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় বিদায় নিলেন এক গানের পাখি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে ফরিদা পারভীনকে বহনকারী গাড়িবহর। তার এ যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি। উল্লেখ্য, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা গেছেন। লালনের গানের বাণী ও সুরকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে ফরিদা পারভীনের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। শুরুতে নজরুলসংগীত, পরে আধুনিক গান দিয়ে ফরিদা পারভীনের যাত্রা শুরু হলেও জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে লালন সাঁইয়ের গান গেয়ে।