উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পক্ষ শক্তি হিসেবে হাজির হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়ায় ইনানীস্থ একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯’ এর সংশোধন বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যখন আইন করে তখন তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনায় রাখে। অন্তবর্তী সরকারের চিন্তা হচ্ছে ক্ষমতা কতটুকু সরকারের কাছে না থেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডিগুলোর কাছে থাকে।
কর্মশালার আয়োজন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। এতে প্রস্তাবিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ এর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন আইন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পরামর্শক ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন।
ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওনের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হি. ই. রেটো সিগফ্রিড রেনগলি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। সমাপনী বক্তব্য দেন জোরপূর্বক গুম বিষয়ক অনুসন্ধান কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত হি. ই. নিকোলাস উইকস এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র রুল অব ল, জাস্টিস অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর মিসেস রোমানা শোয়েইগার। জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের কক্সবাজারভিত্তিক মানবাধিকার কর্মকর্তা মি. ইফতেখার সায়েদ আলী।