এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি সহজে জিতেছে বাংলাদেশ। তবে আবুধাবিতে বাংলাদেশের সামনে আজ কঠিন প্রতিপক্ষ। সেই প্রতিপক্ষের নাম শ্রীলঙ্কা।
মাঠে নামার আগে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা বাংলাদেশকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, তারাই এশিয়া কাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আবুধাবির উইকেটে বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে কীভাবে সহজে ব্যাট করা যায়, সে বিষয়েও কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। নতুন বলটা ধীরে ধীরে একটু নরম হয়ে এলে ব্যাটিংটা সহজ হবে বলে মনে করেন আসালাঙ্কা। ২০২৩ সালে সর্বশেষ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। শ্রীলঙ্কা তাহলে কীভাবে এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন? আসলে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ভুল কিছু বলেননি। এবারের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হচ্ছে। এই সংস্করণে সর্বশেষে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১৯৮৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপ এখন দুই সংস্করণের টুর্নামেন্ট। কখনো ওয়ানডে, কখনো টি-টোয়েন্টি। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী বৈশ্বিক টুর্নামেন্টকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। যেমন ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় এবার টি–টোয়েন্টি সংস্করণে এশিয়া কাপ হচ্ছে। একই চিত্র দেখা গেছে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপেও। ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ছিল ৫০ ওভারের। আজ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে ২০২২ সালের সেই শিরোপা জয় শ্রীলঙ্কাকে অনুপ্রাণিত করছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আসালাঙ্কা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা যে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, মানসিকভাবে এমনটা ভাবা সত্যিই দারুণ একটি ব্যাপার। এই খেলোয়াড়দের অনেকে আগেরবারের ওই টুর্নামেন্টেও খেলেছিল (সংযুক্ত আরব আমিরাতে)। আমরা জানি, যেহেতু আমরা চ্যাম্পিয়ন, তাই আমরা অনেক দূর যেতে পারি। খেলোয়াড়দের কাছে এটা ভালো করার প্রেরণা।’
নিজেদের দেশে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দুই দলই সাধারণত ধীরগতির উইকেটে খেলে, যা স্পিনে সহায়ক। তবে আসালাঙ্কা আশা করছেন আবুধাবির উইকেট ভিন্ন রকম হবে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্য ভেন্যুগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে আমি মনে করি আবুধাবি ব্যাটসম্যানদের জন্য সেরা পিচ। একবার বল নরম হয়ে গেলে এখানে ব্যাট করা অনেক সহজ, আর আউটফিল্ডও খুব ভালো। প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই আবুধাবিতে খেলতে চাইবে।’
ম্যাচটি হবে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়। শেষ ১০ বছরে এই দল একে অপরের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি খেলেছে ১৬টি। যেখানে দুই দলই আটটি করে ম্যাচ জিতেছে।