বাংলাদেশ যে বছর স্বাধীন হয় সে বছর সোনার ভরি ছিল ১৭০ টাকা। ৫৪ বছর পর সোনার দাম শুনলে অধিকাংশ মানুষই অবাক হবেন। তবে সোনা সব কালেই দামি ধাতু। বর্তমানের কথাই ধরা যাক, ভালো মানের সোনার ভরি ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এই দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বিশ্বে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে, পূর্বাভাস এমনই।
বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির সঙ্গে সোনার দামের সম্পর্ক রয়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা মানে সোনার বাজারে মূল্যবৃদ্ধি। কারণ, অস্থির সময়ে বিভিন্ন দেশ সোনায় বিনিয়োগ করে। ঐতিহাসিকভাবেও দেখা গেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে সোনার দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অর্থাৎ ২০২০ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৭০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত এপ্রিলে পাল্টা শুল্ক আরোপ করলে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৪০০ ডলারের বেশি পর্যন্ত পৌঁছায়।
বর্তমানে বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৬০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। পেছনের কারণ হচ্ছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) আগামী সপ্তাহে সুদহার কমাতে পারে। এসব কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার প্রতি ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। স্পট মার্কেটে গতকাল একপর্যায়ে এক আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ৬৫৪ ডলারে দাঁড়ায়।
অস্ট্রেলিয়ান ঋণদাতা এএনজেড গ্রুপ গতকাল বুধবার সোনার দামের পূর্বাভাস আগের চেয়ে বাড়িয়েছে। তাদের পূর্বাভাস, বছরের শেষ দিকে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৮০০ ডলার হতে পারে। আগামী জুন নাগাদ সেই দাম চার হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানান হয়েছে।