রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, কবর থেকে মরদেহ তুলে পোড়ানো, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ হামলায় হতাহতের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে। প্রেস উইং আরও জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম লতিফ। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। আজ ভোরে তাঁকে মানিকগঞ্জের চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস উইং বলেছে, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা মো. আজাদ মোল্লা (৫৫) বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে একটি মামলা করেছেন। গত শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় নুরাল পাগলার দরবার ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা শরিয়ত পরিপন্থীভাবে দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় নুরাল পাগলার দরবার ও বাড়ি।
উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদল লোকের এই হামলায় ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের দুটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হয়ে মারা যান রাসেল নামের এক ব্যক্তি।