আফগানিস্তানের কাছে হেরে বসেছিল পাকিস্তান। তাতে ফাইনালে ওঠার অপেক্ষাটা বড় হয়েছিল আরও একটু। তবে সে অপেক্ষাটা আমিরাতকে উড়িয়ে দিয়ে ঘোচাল পাকিস্তান। ফখর জামানের দারুণ ব্যাটিং আর স্পিনার আবরার আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩১ রানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে জায়গা করে নেয়।
ফখর খেলেন ৪৪ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। এটি ছিল তার দ্বাদশ টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি। অপর প্রান্তে মোহাম্মদ নওয়াজ খেলেন ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস। এই জুটিতে ভর করে ১১ ওভার শেষে ৮০ রানে থাকা পাকিস্তান দাঁড় করায় ২০ ওভারে ১৭১ রান, উইকেট খোয়ায়নি একটিও।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবরারের স্পিনে ধসে পড়ে আমিরাত। তিনি চার ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। তার আগের সেরা বোলিং ছিল ৩-১৯, যা করেছিলেন এ বছরই বাংলাদেশের বিপক্ষে। আমিরাত শেষ পর্যন্ত করে ১৪০-৭।
আমিরাতর ওপেনার আলিশান শরাফু একাই লড়াই চালান। তিনি ৫১ বলে ৬৮ রান করেন, মারেন চারটি ছক্কা ও চারটি চার। কিন্তু দলের হারের ধারা থামাতে পারেননি। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে তাদের টানা তৃতীয় হার।
এর আগে পাকিস্তানের ইনিংসে সাইম আয়ুব ১১, সাহিবজাদা ফারহান ১৬, অধিনায়ক সালমান আঘা ৭, মোহাম্মদ হারিস ১৪ ও হাসান নওয়াজ ৪ রান করে ফেরেন। দলটি বিপদে পড়ে ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে। এরপর ফখর ও নওয়াজ ষষ্ঠ উইকেটে ৫১ বলে ৯১ রান যোগ করে ইনিংস ঘুরিয়ে দেন।
শেষ পাঁচ ওভারে আসে ৭৪ রান। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তান তোলে ৪২ রান। নওয়াজ জুনাইদ সিদ্দিকীর করা ১৯তম ওভারে মারেন তিন চার ও এক ছক্কা। শেষ ওভারে জাওয়াদুল্লাহকে টানা পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান ফখর।
আমিরাতর হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন স্পিনার হায়দার আলি। তিনি নেন ২ উইকেট, খরচ করেন ১৭ রান।
এই জয়ে পাকিস্তান গ্রুপে চার ম্যাচে তিন জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে ফাইনালে উঠে গেছে আফগানিস্তানও। তারা শুক্রবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিয়মরক্ষার লড়াই লড়বে স্বাগতিক আমিরাতর বিপক্ষে।