জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) গাজী মো. মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পাশাপাশি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের ২ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৯৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। তাঁকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) গাজী মো. মোজাম্মেল হকের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেল ও মেয়ে গাজী বুশরা তাবাসসুমের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, গাজী মো. মোজাম্মেল হকের নামে থাকা ৬৫ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরে মোজাম্মেল হকের স্ত্রীর নামে ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের ১২টি দলিল জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৮ জানুয়ারি ‘আবাসন, বাংলোবাড়ি, রিসোর্ট সবই আছে পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেলের’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশের এই কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ‘আনন্দ পুলিশ হাউজিং সোসাইটি’ নামে ১ হাজার ২০০ বিঘা জমির ওপর আবাসন ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। তাঁর স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের নামে রয়েছে ‘আনন্দ প্রপার্টিজ লিমিটেড’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। ফারজানার নামে রূপগঞ্জের বিভিন্ন মৌজায় অন্তত ৮০ বিঘা জমি রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গাজী মো. মোজাম্মেল হক ১৯৯৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে যোগ দেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছর তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে ‘ডেভেলপমেন্ট’ শাখায় কর্মরত ছিলেন। অতিরিক্ত ডিআইজি হওয়ার পরও এই শাখায় ছিলেন তিনি। পুলিশের এই শাখার কাজ বাহিনীর জমিজমা দেখাশোনা করা। ১ জানুয়ারি তাঁকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সরিয়ে অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটে বদলি করা হয়।
