জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। এই সম্মেলনে বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসের সাম্প্রদায়িক হামলার ওপর প্রামাণ্যচিত্র দেখানোর কথা ছিল।
উদ্যোক্তারা বলছেন, অনিবার্য কারণে এই সম্মেলন স্থগিত করতে হয়েছে। এভাবে কর্মসূচি থামানো যাবে না বলছেন তাঁরা। পুলিশ বলছে, যথাসময়ে যথাস্থানে অনুমতির আবেদন জমা এবং অনুমোদন নিতে না পারায় এই কর্মসূচি করতে দেওয়া যায়নি।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন ২০২৫: পাহাড় থেকে সমতল, অস্তিত্ব রক্ষায় অটল’ শিরোনামে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন এই আয়োজনের উদ্যোক্তা।
সকালে দেখা যায়, এই সম্মেলনে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে এসেছেন। তবে কাউকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না।
নীলফামারী থেকে এই সম্মেলনে যোগ দিতে আজ সকালে ঢাকা আসেন তরুণ কুমার রায়। তিনি বলেন, এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে তিনি আজ সকাল আটটায় ঢাকায় নামেন। তবে এখানে এসে শোনেন, সম্মেলন হবে না। পরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের ফটকের সামনের ফুটপাতে ব্যানার টানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের নেতারা। উদ্যোক্তারা বলছেন, এতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে সমঝোতার এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখান থেকে সরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, অনিবার্য কারণবশত এই সম্মেলন স্থগিত করতে হয়েছে। সম্মেলনের পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি এ–ও বলেন, এভাবে কর্মসূচি থামানো যাবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তন থেকে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের ফেসবুক পেজে লাইভ করে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছিল। আজ সকালে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘একটি ইনডোর প্রোগ্রাম! শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে বাধা। বাংলাদেশে তো যা সংখ্যালঘু হামলা হয়, সবটাই রাজনৈতিক। তাহলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্মেলনকে এত ভয় পাওয়ার কি আছে? আপনারাই তো বলেন, ৮ শতাংশ এক না। তাহলে সবাই যখন এক সাথে আসতেছে, তাতে বাধা কেন? ৫৪ বছরের ইতিহাসের সাম্প্রদায়িক হামলার প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে, তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের এত ভয় কেন?’
ঘটনাস্থলে ছিলেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তারা যথাসময়ে ও যথাস্থানে অনুমতির আবেদন জমা দিতে পারেনি। অনুমোদনও নিতে পারেনি। এ কারণে এখানে কর্মসূচি করতে দেওয়া গেল না।’