ইকোনোমিক ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: মহামারী করোনার প্রভাবে রোববার (২২ মার্চ) পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রায় ৩৫০টি তৈরি পোশাক কারখানার রপ্তানি আদেশ বাতিল
এর সঙ্গে ৯২ কোটি ৭০ লাখ ডলার মূল্যমানের পণ্য জড়িত। আরও কারখানার অর্ডার বাতিলের আশঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা।এ অবস্থায় পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের নিয়ে সোমবার (২৩ মার্চ) বৈঠকে বসবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির বৈঠকের ডাকা হয়েছ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বিজিএমইএ জানায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩০০ কারখানার অর্ডার বাতিল হয়। রোববার পর্যন্ত এ সংখ্যা ৩৫০-এ পৌঁছেছে। এ ছাড়া অনেক অর্ডার স্থগিত হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামীতে সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন কারখানা মালিকরা।
ইউরোপ, আমেরিকাসহ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার রয়েছে এমন দেশে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। কোনো কোনো দেশ জরুরি অবস্থা জারি করেছে। ফলে এসব দেশে পোশাক পণ্যের বেচাকেনা কমে গেছে ব্যাপকভাবে। কোনো কোনো শহরে বেচাকেনা একদম বন্ধ। ফলে বাংলাদেশ থেকে পোশাক নিয়ে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে যেসব ব্র্যান্ড তারা এ মুহূর্তে পোশাক নিতে চাইছে না। এ জন্য অনেক ক্রেতা অর্ডার বাতিল করছে। অনেকে অর্ডার স্থগিত করছে।
বিজিএমইএ পরিচালক আসিফ ইব্রাহীম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শনিবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩৪৭টি কারখানার ৯৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের রপ্তানি অর্ডার বাতিল হয়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় বিজিএমইএ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব জানতে বিজিএমইএ একটি পোর্টাল চালু করেছে। ওই পোর্টালে যেসব কারখানা সংযুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে এই অর্ডার বাতিলের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এখনও সব কারখানা ওই পোর্টালে সংযুক্ত হয়নি। দেশে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার কারখানা উৎপাদনে আছে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, ক্রেতারা যে পরিমাণ অর্ডার বাতিল করছে, স্থগিত করছে তার চেয়ে বেশি। সরাসরি অর্ডার বাতিল না করে ক্রেতারা বলছে- আগামী দু-তিন সপ্তাহ পর চূড়ান্ত করবে যে অর্ডার থাকবে নাকি বাতিল হবে। সূত্র : সময় টিভি