লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর কারাগারে থাকা এক যুবদল নেতার ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এই স্ট্যাটাসটি পোস্ট করা হয়। ওই নেতা হলেন জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম ফরিদ উদ্দিন। বন্দী থাকা ব্যক্তির এভাবে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্ট্যাটাসে লেখা হয়, ‘আমি যেই মাপের লোক, আমারে সেই মাপের একটা অস্ত্র দিয়ে পাশাইতি (ফাঁসাইতি), যেমন বিদেশি পিস্তল, শটগান বা অন্যান্য অস্ত্র দিয়া পাশাইতি। বুড়া অস্ত্র দিয়া আমার মানসম্মান শেষ করলি।’ স্ট্যাটাসের শুরুতেই লেখা ছিল—‘সবাই শেয়ার করবেন।’ স্ট্যাটাসটি পরে একবার সংশোধনও করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর ফরিদের মুক্তির দাবিতে পালেরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিলের একটি ভিডিও লিংকও শেয়ার করা হয় তাঁর আইডি থেকে। এর আগে ১০ আগস্ট দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে একটি একনলা বন্দুকসহ এ কে এম ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার হয়। সদর উপজেলার পালেরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি পালেরহাট এলাকাতেই। ফরিদ উদ্দিনের কাছ থেকে বন্দুক ছাড়াও নগদ ১ লাখ ৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ কে এম ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। অস্ত্রসহ অবস্থানের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুবদল।
কারাগারে বন্দী অবস্থায় ফরিদ উদ্দিন কীভাবে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ দাবি করছে, কারাগার কিংবা রিমান্ডে মুঠোফোন ব্যবহারের সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার নুর মোহাম্মদ সোহেল মুঠোফোনে বলেন, ‘অস্ত্র মামলায় ফরিদকে গত রোববার পুলিশ রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে গতকাল রাত ৮টার দিকে তাঁকে কারাগারে আনা হয়। এর মধ্যে তিনি স্ট্যাটাস দিয়ে থাকতে পারেন। তবে কারাগারে মুঠোফোন ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘রিমান্ড কিংবা হাজতে মুঠোফোন ব্যবহারের সুযোগ নেই। সম্ভবত ফরিদের পরিবারের কেউ তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’