নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শহরে ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪৩ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় মামলাটি করে। ঝটিকা মিছিলের পর পুলিশের অভিযানে আটক হওয়া পাঁচজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আটক পাঁচজন হলেন চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর এলাকার নুর নবী ওরফে রাজু (৩১) ও আবদুল আহাদ (১৮), শরিফুল ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামের মো. শ্রাবণ (১৯), চৌমুহনী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গনিপুর গ্রামের জাহিদুল হাসান (১৯) ও সদর উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চর কাউনিয়া গ্রামের মো. আরমান (১৯)।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুটি ফেস্টুন, তিনটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার বিষয়টি বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শহরে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ফেসবুকে প্রচার করা ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী রেলস্টেশন এলাকা থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি রেললাইনের পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে রেলগেট হয়ে শহরের ব্যস্ততম ফেনী-চৌমুহনী মহাসড়কে ওঠে। মিছিলকারীদের হাতে ‘হটাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ লেখা ব্যানার ছিল। ২৫ থেকে ৩০ জন কিশোর ও তরুণ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি মহাসড়কের প্রায় ২০০ গজ অতিক্রম করে শহরের হাসান সড়কের মাথায় গিয়ে শেষ হয়।