টানা খেলার ধকল কাটাতে জাতীয় দল এখন বিশ্রামে। ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের অনুশীলন হচ্ছে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। তবে দুই দল মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন ক্রিকেটারের অনুশীলনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়া। বৃষ্টির কারণে অনুশীলন করতে না পারায় ক্রিকেটারদের মধ্যেও হতাশা কাজ করছে।
১০ জুন প্রধান কোচ ডেভিড হেম্পের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে ক্যাম্প শুরু করে এইচপি। চট্টগ্রাম থেকে একটি সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৭ দিনে সব মিলিয়ে মাত্র ১১ থেকে ১২ দিন মূল মাঠে অনুশীলন করা গেছে। অন্য সময় ভাগে ভাগে স্কিল অনুশীলন ও ফিটনেস নিয়ে কাজ হয়েছে ইনডোরে। তবে ইনডোরে টার্ফ বসানোর কাজ চলায় সেখানেও বিরতি দিতে হয়েছে। হাই পারফরম্যান্স দলের ম্যানেজার জুনায়েদ চৌধুরীর দাবি অবশ্য ভিন্ন। তিনি বলেছেন, তাঁরা ২৪-২৫ দিন মূল মাঠে অনুশীলন করেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এইচপির একাধিক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে তাঁরা বেশির ভাগ দিনই অনুশীলন করতে পারেননি। জাতীয় দলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে এটি তাঁদের জন্য বড় সুযোগ। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে অুশীলন করতে না পারায় তাঁদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। এইচপির কোচ ডেভিড হেম্প যদিও বৃষ্টির মধ্যে এ অনুশীলন করার মধ্যেও শিক্ষণীয় কিছু দেখছেন। কাল চট্টগ্রাম থেকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও আপনি বৃষ্টি থামিয়ে রাখতে পারবেন না, এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা এটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই ইনডোর ও আউটডোরে অনুশীলন করে যাচ্ছি।’
আগস্টের ১২ তারিখ পর্যন্ত চট্টগ্রামেই চলবে এইচপির ক্যাম্প। এরপর ১০ দিনের বিরতি দিয়ে ক্রিকেটাররা চলে যাবেন রাজশাহীতে—এনসিএল টি-টোয়েন্টি শুরুর আগপর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় ধাপের স্কিল অনুশীলন। এর মধ্যেই ‘এ’ দলের অস্ট্রেলিয়া সফরকে সামনে রেখে ৩১ জুলাই এবং ১ ও ৩ আগস্ট এইচপি ও ‘এ’ দল তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর হবে এইচপির ক্রিকেটারদের নিজেদের মধ্যে একটি চার দিনের ম্যাচ।
‘এ’ দলও দুই সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রামে, কিন্তু এর মধ্যে ৪-৫ দিন অনুশীলন করতে পারেনি। এ নিয়ে হতাশার কথা শোনা গেছে দলটির এক তরুণ ক্রিকেটারের কণ্ঠে। বৃষ্টির মৌসুমকে ‘অফ সিজন’ ধরে এ সময়ই বিভিন্ন পর্যায়ের ক্যাম্প হয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে ‘এ’ দল আর তরুণ ক্রিকেটারদের গড়ে তোলার মঞ্চ এইচপির প্রস্তুতিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি।