২০২৫ সালের গ্রীষ্মে কম-বেশি নব্বইয়েরও বেশি কোম্পানি কোটি কোটি টাকা রাইজ করে, কিন্তু তাদের ব্যবহার হয়নি নতুন কারখানা বানাতে, নয় নতুন কর্মী নিয়োগে— বরং বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনায় । এটি তাদের পুরনো ব্যবসা থেকে সরে গিয়ে “ক্রিপ্টো ট্রেজারি” কৌশল অনুসরণ করার অংশ, যা প্রথম শুরু করেন Michael Saylor (Strategy)। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাথে সাথেই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দাম দ্রুত বেড়ে যায়, বিশেষ করে ছোট কোম্পানিগুলোর মূল্যই কয়েক গুণ বেড়েছে ।
একটি অন্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৬০টি এমন কোম্পানি যারা পূর্বে কোনও ক্রিপ্টো ব্যবসায় যুক্ত ছিল না, তারা এখন বিটকয়েন, Ether বা Solana কিনতে শুরু করেছে, গোটা একটা নতুন ধারণা (“bitcoin treasury”) অনুসরণ করে । মাত্র এপ্রিল ২০২৫ থেকে এ ধরণের কোম্পানির মাধ্যমে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১১.৩ বিলিয়ন USD ।
সতর্কবার্তা হিসেবে বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের বিনিয়োগ মূলত উচ্চপ্রতুল রিস্ক বহন করে। ডিপ মার্কেট বা মূল্যপতন হলে কোম্পানির শেয়ার ও ট্রেজারি দুই ক্ষেত্রেই বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত কোম্পানি যারা অধিক ঋণ নিয়ে ক্রিপ্টো কিনছে তাদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বড় হতে পারে ।