সকাল হলো বরকতের সময়। ইসলামি দৃষ্টিতে এ সময়টিকে বলা হয়েছে রিযিক ও কল্যাণ লাভের মোক্ষম সুযোগ। হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশনা অনুযায়ী, জীবিকার বরকত পেতে সকালবেলায় কিছু করণীয় পালন করলে আল্লাহ তাআলা নিজেই রিযিকের দরজা খুলে দেন।
চলুন জেনে নিই, ইসলাম মতে সকালে রিযিক বাড়ানোর তিনটি কার্যকর আমল:-
১. ফজরের নামাজ পড়া ও সকাল সকাল জেগে ওঠা
রাসূল (সা.) দোয়া করেছিলেন, “আল্লাহ আমার উম্মতের সকালকে বরকতময় করে দাও।” (তিরমিজি)
ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে ও সকালবেলা অলসতা না করে কাজে লেগে পড়ে, তার জীবনে রিযিকের বরকত নিশ্চিত হয়। এটি শুধু আত্মিক শান্তির নয়, বরং দৈনন্দিন সফলতারও চাবিকাঠি।
২. সকালবেলা জিকির ও দোয়া করা
সকাল শুরু করা উচিত আল্লাহর স্মরণে। রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকালে ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওবিহামদিহি’ পড়ে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং রিযিকে বরকত আসে।” (সহীহ বুখারি)
এছাড়া ‘আসতাগফিরুল্লাহ’, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ইত্যাদি যিকিরও রিযিক বৃদ্ধির শক্তিশালী উপায় বলে হাদীসে এসেছে।
৩. হালাল পথে উপার্জনে সচেষ্ট থাকা
কুরআনে আল্লাহ বলেন, “তোমরা পৃথিবীতে বিচরণ করো এবং আল্লাহর দেয়া রিযিক অনুসন্ধান করো।” (সূরা মুলক: ১৫)
ইসলাম এমন এক ধর্ম, যা পরিশ্রম ও হালাল জীবিকাকে উৎসাহ দেয়। সকালে কাজে বের হওয়া, হালাল পথে উপার্জনে মনোযোগী হওয়া রিযিক বাড়ায় এবং জীবনে স্থিতি আনে।
ইসলাম শুধু আধ্যাত্মিকতা নয়, বাস্তব জীবনের দিকনির্দেশনাও দেয়। সকালবেলা ফজরের নামাজ, যিকির এবং পরিশ্রম—এই তিনটি অভ্যাস গড়ে তুললে ব্যক্তি যেমন আত্মিক শান্তি পান, তেমনি জীবিকায়ও আসে বরকত।