রাজধানীর মিরপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, শৌচাগারের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় লুঙ্গি, সাদা পাঞ্জাবি ও টুপি পরা এক কিশোরের মরদেহ ঝুলছে। এক পা কমোডে ও আরেক পা মেঝেতে ঠেকে আছে। পাশে পড়ে আছে দুটি বদনা।
বৃহস্পতিবার এ ঘটনা নিয়ে দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব-উল-হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।
তবে ফেসবুকে অনেকে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে প্রচার করছেন। পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুসসালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক জানান, মরদেহটি মিরপুর ১ নম্বরে অবস্থিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল-ইসলামী মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র সিয়ামের (১৪)। গত সোমবার (২১ জুলাই) মাদ্রাসার দোতলার শৌচাগার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবারের ঘটনা হলেও বুধবার দিবাগত রাত থেকেই সিয়ামের মরদেহের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা সবার নজরে আসে।
পুলিশ জানায়, মাদ্রাসার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিয়াম একবার শৌচাগারে ঢোকে। সেখান থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষণ পর একটি গামছা নিয়ে আবার শৌচাগারে প্রবেশ করে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বের না হওয়ায় সহপাঠী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের লোকজন ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিলে ছিটকিনি ভেঙে সেটি খুলে যায়। তখন দেখা যায়, সিয়ামের মরদেহ জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছে।
এসআই আজিজুল হক বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।
জানা গেছে, সিয়াম মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। মৃত্যুর আগের দিন তার বাবা সাজ্জাদ হোসেন ঢাকায় ছেলেকে দেখতে এসেছিলেন। ঠোঁটে ও পায়ে ফোসকার জন্য চিকিৎসকের কাছেও নিয়েছিলেন ছেলেকে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সিয়াম ছিল সবার বড়