এই মাসে ‘জুলাই সনদ’ না হলে অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশন দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। অপর নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এক দলকে কোলে, আরেক দলকে কাঁধে রেখেছে। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রোগ্রাম করবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত মৌন মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হক মজনু, সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। বিকাল ৫টায় মৌন মিছিল শুরু হয়। মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি কাকরাইল, মৌচাক হয়ে আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, যারা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়, তাদের উদ্দেশ্য অসৎ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো ম্যান্ডেট এই সরকারের নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবেই দেখে। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির নানা ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) সহযোগিতা করছি। দ্রুত নির্বাচন দিন, দেশে শান্তি ফিরবে। না দিলে আমরা ভাবব, দেশকে অশান্ত করার প্রক্রিয়া আপনারাই করছেন দীর্ঘদিন ধরে। শহীদদের নিয়ে আফসোস হয় জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদদের নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে, রাজনৈতিক ব্যবসা চলছে। তারা বেঁচে থাকলে লজ্জা পেতেন। তারা যে কারণে জান দিয়েছিল, যে কারণে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল, সেই কারণগুলো আজকে হচ্ছে না। জুলাই আন্দোলনের শহীদদের বিক্রি করে কেউ কেউ রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ওই ঘটনাগুলোকে নিয়ে বিশেষ কয়েকটি দল রাজনীতি করছে এবং শহীদদের বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিছু হলেই বলেন আন্দোলনের শহীদ, আরে ভাই জুলাই আন্দোলনের শহীদদের সম্মান দেখান। তারা তো কোনো একক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেয় নাই। তারা দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য জীবন দিয়েছে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সংগ্রাম করেছি, জেলে গিয়েছি কিন্তু সেগুলোর প্রতিদান নেইনি, চাইও না। কিন্তু জুলাইকে ভিত্তি করে একটি দল প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। আর কিছু দল আছে যারা বেচাকেনা করছে। তিনি বলেন, একজন তথাকথিত পীর সাহেব বলেছেন, ‘জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে সেই জায়গা পচে যাবে।’ মনে আছে কি আপনাদের কথাটা? তিনি আজকে জামায়াতের কোলে উঠে বসেছেন।