ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটি বর্তমানে আংশিক লকডাউন অবস্থায় আছে।
ইটালির পর ইউরোপের সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত দেশের নাম স্পেন। দেশটির ৪৭ মিলিয়ন মানুষকে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থার মধ্যে আংশিক লকডাউনে পাঠানো হয়েছে।
শুধুমাত্র খাবার ও ওষুধ কেনা, কাজে বা হাসপাতালে যাওয়া এবং জরুরি অবস্থা ছাড়া সবাইকে ঘরেই থাকতে বলা হয়েছে। বার, রেস্টুরেন্ট বা খাবার ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করছে এমন সব দোকান বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। অবসরের বা খেলাধুলার মতো কাজ যেমন- সিনেমা, থিয়েটার, সুইমিং পুল এবং ফুটবল গ্রাউন্ডও বন্ধ করা হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জাতির উদ্দেশে দেয়া টেলিভিশন বার্তায় বলেন: আমরা আবার আমাদের নিয়মিত কাজে ফিরবো এবং আমাদের বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করবো। তার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের শক্তি নষ্ট করবো না। সেটা এখন খুবই দরকার। পথ হারানো যাবে না।
এরপরই তিনি স্ত্রীর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর জানান। পুরো দেশটিতে স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে এবং অর্থনৈতিক পদক্ষেপের প্রথম প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটিতে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা সঙ্কুচিত করা হবে সোমবার থেকে। বিমান, রেল ও নৌ যোগাযোগ অর্ধেকে নামানো হবে এবং যাত্রীদের মধ্যে যতটা সম্ভব দূরত্ব নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
তবে সিটি বাস এবং মেট্রো আগের মতোই চলবে এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটেও এর প্রভাব পড়বে না। কর্মীদের দূর থেকে কাজের সুযোগ দিতে হবে এবং জনগণ চাইলে এই সুযোগ নিবেন। আদালতের কার্যক্রমও স্থগিত করতে হবে। এতে করে জনগণ ও ব্যবসার উপর প্রভাব পড়বে, কিন্তু সরকার সেটা প্রশমিত করার চেষ্টা করবে।
স্পেনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৯৩ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৬,২৫০ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। পরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৫৭,১২১ জন। আর প্রাণ হারিয়েছে ৫,৮৩৯ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৫,৯৩৯ জন।