মাত্র এক সপ্তাহের ভিতরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে ভারতকে। চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব না হলে গুনতে হবে বর্ধিত শুল্ক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। এটা অন্য ধরনের চুক্তি হবে। এটা এমন এক চুক্তি হবে, যেখানে আমরা ভেতরে ঢুকতে পারব। এখন ভারত কাউকে (পণ্য) ভেতরে ঢুকতে দেয় না। আমি মনে করি, এবার তারা দেবে। ভারত যদি এবার ঢুকতে দেয়, তাহলে আমরা অনেক কম শুল্ক চালু করে চুক্তি করতে পারব।’
ট্রাম্প আগেও বলেছেন এবং খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, চুক্তি করতে গেলে আমেরিকাকে ভারতের বাজারে ঢুকতে দিতে হবে। ভারত নিজের দেশের সংস্থা, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রচুর শুল্ক বসিয়ে রেখেছে। আমেরিকা চাইছে, ভারত এই শুল্ক অনেকটা কমিয়ে কৃষি, ডেইরি ও নির্দিষ্ট শিল্পক্ষেত্রে মার্কিন পণ্য ও সংস্থার প্রবেশের পথ প্রশস্ত করুক। না হলে চড়া হারে শুল্ক বসিয়ে ভারতীয় পণ্যের আমেরিকায় ঢোকার পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ভারতীয় প্রতিনিধিদল মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন রাজেশ আগারওয়াল। তার ভারতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনা শেষ হয়নি বলে তিনি এখনও ওয়াশিংটনে রয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, অত্যন্ত জটিল বাণিজ্য আলোচনা চলছে। আশা করি, আলোচনা সফল হবে। কিছু গিভ অ্যান্ড টেক বা দেওয়া-নেওয়ার বিষয় থাকবে।
ওয়াশিংটন সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের রিচার্ড রসো বিবিসিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কৃষিক্ষেত্রে ঢুকতে চায়। আর আর্থিক ও রাজনৈতিক কারণে ভারত তাদের কৃষকদের রক্ষা করতে চায়।
ভারত আপেল, বাদাম, জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (জিএম) শস্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা ওয়াশিংটনের। এর ফলে আমেরিকা এসব পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে পারবে। এছাড়া ভারতীয় দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ডয়চে ভেলে