বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে জড়িত ব্যক্তিদের বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা করছে।
লন্ডনে ১০ থেকে ১৩ জুন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলের সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাচারকৃত অর্থ ফেরতের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে আলোচনা করছে সরকার এবং নথিপত্র প্রস্তুতিতেও তারা সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশের কাছে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চাওয়া হয়েছে এবং পাচারকারীদের সম্পদ ও লুট হওয়া অর্থের তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে, যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে, বেক্সিমকোর শায়ান রহমান ও শাহরিয়ার রহমানের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করা হয়।
গভর্নর জানান, আরও কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং তিনি আশাবাদী যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষ আইনি সংস্থাগুলো এই সম্পদ পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। এই সংস্থাগুলো মামলার খরচ বহন করে এবং বিনিময়ে উদ্ধার হওয়া অর্থের একটি অংশ পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগে অংশ নিতে একটি তহবিল গঠনের বিষয় বিবেচনা করছে এবং বৈশ্বিক আইনি সংস্থাগুলোর সহায়তায় অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মনসুর।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো উদ্ধারকৃত অর্থের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পেতে পারে, তবে তা নির্ভর করবে কতটা অর্থ আদায় সম্ভব হয় তার ওপর।