কল্পনা করুন, মদিনার একটি সাধারণ বাড়িতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) একজন অতিথির জন্য সর্বোত্তম খাবার পরিবেশন করছেন। তিনি হাসিমুখে অতিথিকে স্বাগত জানাচ্ছেন, তাকে আরামদায়ক আসন দিচ্ছেন এবং নিজে তাড়াতাড়ি খাবারের ব্যবস্থা করছেন। এমনকি অতিথির ফেলে রাখা ময়লা কাপড় নিজে পরিষ্কার করছেন।
এই দৃশ্য ইসলামে আতিথেয়তার একটি চিরন্তন ছবি। ইসলামে আতিথেয়তা শুধু একটি সামাজিক রীতি নয়, বরং একটি ধর্মীয় বিধান। এটি অতিথি, গৃহকর্তা এবং আল্লাহর মধ্যে একটি ত্রিমুখী সম্পর্কের সূত্র, যেখানে অতিথির অধিকার আল্লাহর প্রতি দায়িত্বের অংশ।
যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের দিনে বিশ্বাস করে, সে যেন তার অতিথিকে সম্মান করে।
সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৩৮
আতিথেয়তার গুরুত্ব
আতিথেয়তা একটি মহৎ গুণ। কোরআন ও হাদিসে অতিথির প্রতি দয়া ও সম্মান প্রদর্শনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের দিনে বিশ্বাস করে, সে যেন তার অতিথিকে সম্মান করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৩৮)
কোরআনে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর আতিথেয়তার গল্প বর্ণিত হয়েছে। তিনি অপরিচিত অতিথিদের দেখে তৎক্ষণাৎ তাদের জন্য একটি সুস্বাদু ভুনা বাছুর প্রস্তুত করেন এবং শান্তির শুভেচ্ছা জানান। (সুরা যারিয়াত আয়াত: ২৪-২৬)
ইসলামে আতিথেয়তা একটি অধিকার, উপহার নয়। অতিথির প্রতি দায়িত্ব পালন আল্লাহর প্রতি দায়িত্বের অংশ। যারা অতিথির প্রতি কৃপণতা করে না, তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের মনের সংকীর্ণতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা আল-হাশর, আয়াত: ৯)