তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। লিটন দাসকে টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়ার পর এবার এক বছরের জন্য ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ।
আগে থেকেই টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন নতুন করে এক বছরের জন্য এই সংস্করণের দায়িত্ব পেয়েছেন। মিরাজের অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টি বিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছিল। পরে বিসিবি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মিরাজের ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক হওয়া নিশ্চিত করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন বলেছেন, ‘ব্যাট ও বল হাতে মিরাজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, তাঁর লড়াই ও দলকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা, মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর উপস্থিতি—তাঁকে এই পালাবদলের সময়ে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত মনে করেছে বোর্ড। আমাদের বিশ্বাস, তাঁর ওই টেম্পারামেন্ট ও ম্যাচিউরিটি আছে বাংলাদেশকে এই সংস্করণে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।’
আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে মিরাজকে। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর এবারই প্রথম এই সংস্করণে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে ২, ৫ ও ৮ জুলাই।
এত দিন ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল টি–টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার কথা জানান গত বছরের শেষদিকে। এবার তাঁকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পেলেও এবারই প্রথম লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পেলেন মিরাজ। বিসিবির সভায় পরিচালকদের কাছ থেকে আসা তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করলেও জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে মিরাজ প্রথম দায়িত্ব পালন করেন গত বছর নভেম্বরে। নাজমুল হোসেন চোট পাওয়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে শারজায় একটি ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেন মিরাজ। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুটি টেস্ট ও তিন ওয়ানডেতেও অধিনায়ক ছিলেন এই অলরাউন্ডার।
মিরাজের অধিনায়কত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ একটি টেস্ট জিতলেও তিন ওয়ানডের সব কটিতেই হেরেছে।