ভোটার তালিকায় নতুন যুক্ত হবে ৬০ লাখের বেশি।
মারা যাওয়ায় তালিকা থেকে বাদ যাবে ২০ লাখের বেশি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। মাঝখানে সময় আছে ১০ মাস। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) কতটা প্রস্তুত, কী কী প্রস্তুতি নিতে হবে; সেই আলোচনা সামনে এসেছে।
ইসি সূত্র বলছে, ঈদের ছুটির কারণে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা করতে পারেনি কমিশন। ছুটি শেষে আগামী রোববার থেকে ইসি নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বা পথনকশা নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ও কাজ শুরু করবে।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, মোটাদাগে নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে আছে—ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেওয়ার মতো কাজগুলো। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রস্তুতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে শেষ করতে হয়। এ ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ঈদুল আজহার আগের দিন গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ (পথনকশা) প্রদান করবে।’ ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কে এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক রুটিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এত দিন ইসির চিন্তা ছিল ডিসেম্বরে নির্বাচন করার লক্ষ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ করে জুলাইয়ের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা। প্রধান উপদেষ্টা নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করার পর ইসি প্রস্তুতির জন্য আরও বাড়তি সময় পেল।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার গত মঙ্গলবার বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর ছুটি থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন কোনো আলোচনা করতে পারেনি। তবে নির্বাচন যখনই হোক, নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ‘রুটিন ওয়ার্ক’ ধরনের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। ঈদের ছুটির পর নির্বাচন কমিশন আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।