জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত আরও ৭ জন যোদ্ধাকে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৩৮৮ ফ্লাইটে তাদেরকে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়। তারা থাইল্যান্ডের স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরবর্তী চিকিৎসা নেবেন।
এদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাদেরকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র প্রতিনিধি নাদিয়া, নুসরাত এবং ইমরান।
আহত সাতজনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল থেকে ১ জন, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ) থেকে ১ জন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স হাসপাতাল থেকে ৩ জন ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে ২ জন ছিলেন।
বিএমইউর আবদুল জব্বারের ইউরিনারি ব্লাডারের/মূত্রথলির পাশে এখনো বুলেট আছে। সিএমএইচের আশরাফুলের শরীর সম্পূর্ণ প্যারালাইসড হয়ে গেছেন। ৫ আগস্ট আন্দোলনের সময় তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছিলেন। নিউরো সাইন্সের তরুণের বাম পা প্যারালাইসড হয়ে গেছে। বাকিরা সবাই নার্ভের ইনজুরির ফলে স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারিয়েছেন এবং অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে জীবনযাপন করছেন।
আহত যোদ্ধারা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
আহত যোদ্ধারা দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশের মাটিতে ফিরে আসতে পারেন।
এ নিয়ে সর্বমোট ৪৭ জন আহত যোদ্ধাকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। সর্বশেষ খোকন চন্দ্র বর্মন তার মুখের রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি প্রথম ধাপ শেষ করে রাশিয়া থেকে দেশে ফিরে এসেছেন গত ৭ মে।সামনে আরও ২০ জনের বেশী আহত যুদ্ধাকে বিদেশে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান।