ছয় দফা দাবি নিয়ে সকালে সচিবালয়ে যায় আন্দোলনরত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ বা সন্তোষজনক না হওয়ায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ে যান ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে বৈঠকে শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম বলেছেন, আমরা আজ অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। আজকের এই বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই। ফলে আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবো। দাবির আদায়ের জন্য আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় অযৌক্তিক আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টা বা সচিব ছিলেন না। আমরা দাবি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা চাই।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রি থাকতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে।
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- কারিগরি (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদের জন্য) সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু ও শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদনের সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।
এর আগে, বুধবার ১৬ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ঢাকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশে জেলায় জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।