সারাদেশ ডেস্ক, রাজশাহী এইজেডনিউজ২৪: সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে মুকুলে ছেয়ে গেছে রাজশাহীর আমের বাগানগুলো। এ যেন বাগান মালিকদের সোনা রঙাস্বপ্ন। সেগুলো টিকিয়ে রাখতে তারা শুরু করেছেন পরিচর্যা। জেলা প্রশাসনও পর্যবেক্ষণ করছে সুক্ষ্মভাবে। লক্ষ্য, মুকুল থেকে বাজারজাতকরণ সবই হবে ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত। সেটি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন গঠন করে করে করেছে বিশেষ তদারকি কমিটি।
থোকে থোকে আমের মুকুল। এই যেন প্রকৃতির এক আল্পনিক সৌন্দর্য। মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে আশপাশ। কৃষি বিভাগের তথ্য, গেলবারের চেয়ে এবার বাগানে বেশি মুকুলের সমারোহ। রাজশাহীর বাগানগুলোতে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসাপাতসহ আড়াইশো জাতের গাছে মুকুল এসেছে শতভাগ। বিষমুক্ত আম উৎপাদনে মৌসুমের শুরুতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে প্রশাসন। বাগান মালিকদের জানানো হয়েছে মুকুল পরিচর্যায় ব্যবহার করা যাবেনা হরমন বা ফলবর্ধক রাসায়নিক ও ক্ষতিকর কীটনাশক।
বাগান মালিকরা জানান, এখানে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে না। শুধু জৈব সার ব্যবহার করা হচ্ছে। যেহেতু এ বছরে কীটনাশক ছাড়া আম উৎপাদন হচ্ছে আশা করি ফলন ও স্বাদ বৃদ্ধি পাবে।
ফল গবেষণা কেন্দ্র, নিরাপদ আম উৎপাদনে, বাগান মালিকদেরর করণীয় সর্ম্পকে অবহিত করছে নিয়মিত।
রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন বলেন, কীটনাশক মুক্ত আম উৎপাদন করার জন্য কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। সে সাথে কৃষকদের ফলন বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম বাগান মালিকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে ও ভোগান্তি ছাড়া বাজারজাত করতে পারেন তার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে আমের ন্যায্যমূল্য সঠিকভাবে পায়। সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়াও রাজশাহী থেকে অন্য জেলা শহরে কীভাবে আম পাঠানো যায়, সে বিষয়ে তাদের সাথে আমরা কাজ করছি।
জেলার ১৯ হাজার হেক্টর জমির বাগানে গত বছর ২ লাখ সাড়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল। তবে এবার এখনো লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেনি কৃষি বিভাগ। সূত্র : সময় টিভি