মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার দুইজনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দুই হাজার ৩৭৬ জন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী এমআরটিভি শনিবার (২৯ মার্চ) সর্বশেষ এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় নিহত বেড়ে হয়েছে ৬৯৪ জন। পরে এক বিবৃতিতে সরকার জানায়, ওই সংখ্যা শুধুমাত্র মান্দাল শহরের হিসাব। এদিকে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবারের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করতে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান শনিবার মান্দালে শহরে পৌঁছান।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি এর আগে হেলিকপ্টারে করে পার্শ্ববর্তী মান্দালয় অঞ্চল সফর করেন জান্তাপ্রধান। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনুসন্ধান, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে।”
মিয়ানমারের এই ভূমিকম্পকে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলা হচ্ছে। ইউএসজিএস বলেছে, শুধু নিহতের সংখ্যাই নয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ব্যাপকহারে বাড়তে পারে। সংস্থাটির মতে, দেশটির আর্থিক, পরিবেশগত এবং সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে ব্যাংককের আঞ্চলিক গভর্নর শনিবার বলেছেন, শহরের দুই হাজারের বেশি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশী মায়ানমারে আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের এক দিন পর উদ্ধারকর্মীরা ব্যাংককের একটি ধসে পড়া ভবনের জায়গায় অভিযান শুরুর জন্য খনন যন্ত্র নিয়ে এসেছেন। সেখানে নিখোঁজ থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান করা হচ্ছে।
এই ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডের রাজধানীতে এখন পর্যন্ত নয়জন মারা গেছেন এবং প্রায় ১০০ জনকে নিখোঁজ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র চাতুচাক বাজারের কাছে এই ধসে পড়া টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া শ্রমিক।