বৃহস্পতিবার (আজ) পবিত্র শবে কদর মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি রাত। রমজানের শেষ ১০ দিনের কোনো বেজোড় রাতে এই রাতটি লুকায়িত থাকে
আজ (২৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার ২৭ রমজানের রাত। আলেমদের মতে, আজ রাতে শবে কদর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
শবে কদরের অর্থ ও গুরুত্ব
শবে কদর ফারসি শব্দ, যার অর্থ “মর্যাদার রাত” বা “ভাগ্যরজনী”। আরবিতে এটি লাইলাতুল কদর নামে পরিচিত। এ রাতে পবিত্র কুরআন শরিফ নাজিল হয়েছিল, যা মানবজাতির জন্য হিদায়াত ও মুক্তির সুসংবাদ বয়ে এনেছে। সূরা আল-কদরে আল্লাহ তাআলা বলেন: “নিশ্চয়ই আমি এটি (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।” (সূরা কদর: ১-৩)
রাতের ফজিলত
এ রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম (ইবনে আব্বাস রা.)।
এ রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং রহমতের বারিধারা বর্ষিত হয়।
এ রাতে তাওবা-ইস্তিগফার, দোয়া ও ইবাদত কবুল হওয়ার বিশেষ সময়।
শবে কদরের আমল
নামাজ- তারাবিহ, তাহাজ্জুদ, সালাতুত তাসবিহ, সালাতুল হাজাত ও অন্যান্য নফল নামাজ পড়া।
কুরআন তিলাওয়াত- সূরা কদর, ইয়াসিন, আর-রাহমান, ওয়াকিয়া, মুলক ইত্যাদি পড়া।
জিকির-আজকার ও দোয়া
– “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি” (হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করো)।
– সাইয়্যেদুল ইসতেগফার ও দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া।
দান-সদকা – গরিব-অসহায়দের সাহায্য করা ও পরিবারের জন্য দোয়া করা।
কবর জিয়ারত- মৃতদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা।
সামাজিক আয়োজন
মসজিদে বিশেষ বয়ান ও কুরআন তিলাওয়াতের অনুষ্ঠান।
টেলিভিশন ও রেডিওতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা প্রচার।
সরকারি ছুটির দিন (২৮ মার্চ)।
মহিমান্বিত এই রাতে সকলের তাওবা কবুল হোক, গুনাহ মাফ হোক এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ হোক। আমিন!