বড় পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। টুর্নামেন্ট সম্পর্কে কিছু দিন পরপর নতুন নতুন তথ্য দিয়ে যেন স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছে তারা। নতুন আঙ্গিকে সাজানো ক্লাব বিশ্বকাপে এবার সুযোগ মিলেনি কাতালান ক্লাবটির। জানা গেছে, এই টুর্নামেন্টে না খেলায় বার্সেলোনা আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৬০ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠার মর্যাদা ও খ্যাতির দিক থেকে ৩২ দলের প্রথম সংস্করণে খেলার সুযোগ না পাওয়ায় কেবল খেলাধুলার দিক থেকে ব্যর্থতা নয়, বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাজে পারফরম্যান্সের পরিণতি। অর্থনৈতিকভাবে এটি এমন এক ক্ষতি, যা বার্সার দুর্বল বাজেটকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
জানা গেছে, নতুন আঙ্গিকের ক্লাব বিশ্বকাপের টিভি স্বত্ব, টিকিট বিক্রি, অতিথি আপ্যায়ন এবং মার্চেন্ডাইজিং থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার আয় করবে ফিফা।
আয় বেশি হওয়ায় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি দেবে সংস্থাটি। টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসরের প্রাইজমানি প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বা ৯২৮ মিলিয়ন ইউরো। উদাহরণস্বরূপ ক্লাব বিশ্বকাপে শুধুমাত্র অংশগ্রহণ করলেই রিয়াল মাদ্রিদ ৩৫ মিলিয়ন ইউরো পাবে এবং শিরোপা জিতলে এই অঙ্ক পৌঁছাবে ১৪৫ মিলিয়নে।
অন্যদিকে বার্সার জায়গায় সুযোগ পাওয়া আতলেতিকো মাদ্রিদ কেবল গ্রুপ পর্বে খেলেই ২০ মিলিয়ন ইউরো অর্জন করবে এবং পরবর্তী পর্বে গেলে এ আয় বেড়ে হবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো।