আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই আগস্ট গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের রিপোর্ট একটি অকাট্য দলিল। ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই রিপোর্ট অনুযায়ী সরকার শক্ত পদক্ষেপ নেবে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর। জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশব্যাপী ৮শ’ ৪৮ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিহতের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দাখিল করেছে বিএনপি।
এরআগে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
এ ঘটনা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। এসব ঘটনায় অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
১১৪ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন আরও বলা হয়, আন্দোলনকালে শতশত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বলপ্রয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিগ্রহের ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআর মনে করে, বিক্ষোভ এবং ভিন্নমত দমনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবগতি, সমন্বয় এবং নির্দেশনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা ঘটেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অভিযুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবমাননা বিষয়ে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনা করে।