ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) ইরানে ১১তম সাধারণ নির্বাচন। দেশটির পার্লামেন্টে ২৯০ আসনের বিপরীতে লড়ছেন প্রায় ৭ হাজার প্রার্থী। ধারণা করা হচ্ছে, জেনারেল কাশেম সুলেইমানিকে হত্যা ইস্যু বড় প্রভাব ফেলবে এবারের নির্বাচনে। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, দুর্নীতিমুক্ত এবং ইরানি মূল্যবোধকে ধারণ করেন, এমন নেতা চান তারা।
ডিসেম্বরে সুলাইমানির হত্যা ইস্যুতে গেলো দুমাস ধরেই যুদ্ধাবস্থায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র। এখনো চলছে কূটনৈতিক টানাপোড়েন।
তাই নানা কারণেই আলোচনায় এ নির্বাচন। উদার এবং সংষ্কারপন্থী ব্লকের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মঞ্চ বলা হচ্ছে শুক্রবারের ভোটকে। এবার প্রার্থীদের মধ্যে বেশি আলোচনায় তেহরানের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ।
এরই মধ্যে দুর্নীতির দায়ে বর্তমান ৯০ এমপিসহ ৭ হাজারের প্রার্থীতাও বাতিল করেছে দেশটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম গার্ডিয়ান কাউন্সিল। তারা বলছে, কাশেম সুলাইমানির হত্যা ঐক্যবদ্ধ করেছে ইরানিদের। যার প্রভাব পড়বে এ নির্বাচনেও।
ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল মুখপাত্র আব্বাস আলী কাদখোদেই বলেন, ‘আমরা আশাবাদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে। মনে করি এ নির্বাচন, ইরানি জনগন এবং জাতীয় স্বার্থের শত্রুদের বিরুদ্ধে দাতাভাঙা জবাব হবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শত্রুদের।’
তবে, পশ্চিমা দেশগুলোর শত্রুভাবাপন্ন আচরণে আদৌ কী ঘুরে দাড়াবে ইরানের অর্থনীতি। এমন প্রশ্ন ঘুরেফিরেই আসছে দেশটির সাধারণ মানুষের মাঝে।
ট্যাক্সিড্রাইভার মোহসেন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি, অর্থ আত্মসাৎ রোধ করতে না পারলে ভোট দিয়ে কী লাভ। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে আমি ভোট দিতে যাবো।’
ভোটার নাজনিন ইউনেসি বলেন, নেতারা কেবল নিজেদের পকেট পূর্তির জন্যই যেন এমপি না হন। যারা দেশের মূল্যবোধকে ধারণ করেন, এমন নেতাকেই নির্বাচিত করা উচিত।’
গৃহিনী নিকফাল্লাহ বলেন, ‘জনগন নানা সমস্যায় জর্জরিত। কাজ নেই। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। যদিও প্রার্থীরা প্রচারণায় এগুলো নিয়ে কিছুই বলছেন না।’
কট্টরপন্থী প্রার্থীরা আশাবাদি বিপুল জয়ের। ২০১৬র নির্বাচনে শ খানেক আসনে জয় পায় উদার এবং সংস্কারপন্থীরা। বাকীগুলো ছিলো কট্টরপন্থীদের দখলে। রাজধানী তেহরানের আসনগুলোতে কট্টরপন্থীদেরই জয়ের সম্ভাবনা বলছে জরিপ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) ইরানে ১১তম সাধারণ নির্বাচন। পার্লামেন্টে ২৯০ আসনের বিপরীতে লড়ছেন প্রায় ৭ হাজার প্রার্থী
আন্তর্জাতিক
0 Views