কথায় বলে, নিজের জন্য সঠিক পোশাকটি যথাযথভাবে পরতে পারলে দিনের অন্য সব কাজই সহজ হয়ে যায়। আপনার স্বাস্থ্য আর মেজাজের ওপর আপনার পোশাকের সরাসরি ও গভীর প্রভাব রয়েছে। আরও স্পষ্ট করে বললে, আপনি প্রতিনিয়ত আপনার পোশাক দ্বারা প্রভাবিত হন।
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩: ০০
শেয়ার করুন
ফলো করুন
বেঁচে থাকার সঙ্গে প্রাকৃতিক ফেব্রিকের সরাসরি যোগ রয়েছে
বেঁচে থাকার সঙ্গে প্রাকৃতিক ফেব্রিকের সরাসরি যোগ রয়েছেছবি: প্রথম আলো
ফেব্রিক আপনার সুস্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাকৃতিক ফেব্রিক, যেমন সুতি, লিনেন, সিল্ক বা উলের কাপড়ে আপনি ভালো ও চনমনে বোধ করেন। কেবল তাই-ই নয়, আপনার স্বাস্থ্যেও এমনভাবে ইতিবাচক প্রভাব রাখে, যা আপনি হয়তো চিন্তাও করেননি। সেরে ওঠা, যত্ন, স্বস্তি, আরাম আর দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার সঙ্গে প্রাকৃতিক ফেব্রিকের সরাসরি যোগ রয়েছে।
অন্যদিকে সিনথেটিক বা পলিয়েস্টারের মতো কাপড়ের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান আপনার ‘এনার্জি’ শুষে নেয়। আপনি ক্লান্ত বোধ করেন। অবসাদ আর বিষাদ আপনাকে চেপে ধরে। তাই আপনি কী পোশাক পরেন, তা দ্বারা কেবল স্টাইলই নির্ধারিত হয় না; বরং শারীরিক আর মানসিক স্বাস্থ্যও গভীরভাবে প্রভাবিত হয়।
আরও পড়ুন
ক্লান্তি কখনোই আপনাকে স্পর্শ করবে না, কীভাবে জানেন?
০১ এপ্রিল ২০২৪
ক্লান্তি কখনোই আপনাকে স্পর্শ করবে না, কীভাবে জানেন?
সুতি, লিনেন, সিল্ক বা উলের কাপড়ে আপনি ভালো ও চনমনে বোধ করেন
সুতি, লিনেন, সিল্ক বা উলের কাপড়ে আপনি ভালো ও চনমনে বোধ করেনছবি: প্রথম আলো
আপনার পোশাকের ভেতর দিয়ে কি বাতাস চলাচল করতে পারে?
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সাধারণত সিনথেটিক কাপড়ের ভেতর দিয়ে খুব কমই বাতাস চলাচল করতে পারে। আপনার পোশাকের ভেতর দিয়ে যদি বাতাস চলাচল করতে না পারে, তাহলে বিশেষ করে গরমের সময় পোশাকের ভেতরের তাপমাত্রা ও ঘাম থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। সেখান থেকে অ্যাকনি, র্যাশ ও সোরিয়াসিসের মতো নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের পোশাকের কারণে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ঘুমের সমস্যা, অস্বস্তি, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
সিনথেটিক কাপড় নানাভাবে প্রাকৃতিক দূষণের জন্যও দায়ী। আর প্রকৃতি দূষিত হলে তা মানুষের স্বাস্থ্যেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
কেমন পোশাক মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে?
নিজস্ব রুচি ও স্বাচ্ছন্দ্যের সমন্বয় করে পোশাক কিনুন
নিজস্ব রুচি ও স্বাচ্ছন্দ্যের সমন্বয় করে পোশাক কিনুনছবি: প্রথম আলো
ব্যক্তির রুচি, ব্যক্তিত্ব ও ক্ষমতার প্রতিফলন ঘটায় পোশাক। গবেষণায় দেখা গেছে, ভালো ফিটিংয়ের পোশাকে আপনি সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন। তাই দেহের গড়নের সঙ্গে নিজস্ব রুচি ও স্বাচ্ছন্দ্যের সমন্বয় করে পোশাক কিনুন। খুব আঁটসাঁট বা ঢিলেঢালা করে পোশাক বানাবেন না।
সঠিক মাপের পোশাক দেহের বাচনভঙ্গিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। অন্যকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করতে অনেকে ‘পাওয়ার ড্রেসিং’ (কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে, এমন ফ্যাশনশৈলী)-এর সহায়তা নেন। তাই পোশাককে কোনোভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ভাবার উপায় নেই!
সূত্র: ফাইবার টু ফ্যাশন ও ফ্যাশন ইজ সাইকোলজি