মাঘের শুরুতে লক্ষ্মীপুরে শীত জেঁকে বসেছে। আবারও বরফ ঠান্ডা বাতাস শৈত্য প্রবাহ গতকাল থেকে শুরু হয়ে আজ অবদি অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে ঘন কুয়াশায় শীতের তান্ডব আরও বেড়েছে।
এতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সব চেয়ে কষ্টে রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার ফলে দূরপাল্লাহসহ যানবাহনগুলো যাত্রী ওঠছে খুবই কম সংখ্যক। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্য কিছুটা উকি মারলেও প্রচন্ড ঠান্ডায় তা একেবারে ক্ষীণ।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় রামগতি-লক্ষ্মীপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্বনিম্ন ১১ এবং সর্বোচ্চ ২৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রামগতি রেডক্রিসেন্ট সিপিপি দায়িত্বরত টিম লিটার মাইনউদ্দিন খোকন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, দিনের আলোতেও যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাবু হয়ে মানুষ ঘর থেকে কমই বের হচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, এ বছরের মধ্যে এ দিনই সবচেয়ে শীত পড়ছে। পানিতে হাত দিলে মনে হয় বরফের পানি। মনে হয় যেনো ফ্রিজে আছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. সামছুদ্দিন ফিরোজ বলেন, প্রচন্ড কুয়াশার ফলে বোরো বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হলেও গম, ফুল কপি, বাধা কপিসহ শীতকালীন শাক-সবজির জন্য সহায়ক। এতে ফলন অনেক বৃদ্ধি যাবে বলে আমরা আশাবাদী।