এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবে গেলো রাজধানী। প্রধান সড়কগুলোতে হাঁটুপানি, অলিগলিতে পানি উঠেছে আরও বেশি। সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকায় শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এক ঘণ্টা ধরে চলা বৃষ্টিতে বহু এলাকার ফুটপাতও পানিতে ডুবে হয়ে গেছে। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় যানজটে আটকে পড়েন নগরবাসী।
সিএনজির ভেতরে পানি ঢুকে যাওয়ায় ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে সড়কে যানজট পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে। সন্ধ্যা সাতটায় বাংলামোটর থেকে অফিস ছুটির পর তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই সিএনজিতে ওঠেন লাবণী দত্ত। বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। তাই যাবার তাড়া। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি কাল হয়ে দেখা দিলো। অর্ধেক রাস্তায় সিএনজি নষ্ট। পরে বাধ্য হয়ে ভিজেই হাঁটুপানি মাড়িয়ে পান্থপথের বাসায় পৌঁছান তিনি। লাবণী জানান, পানি হাঁটুর উপরে। ফুটপাত খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অন্যদের পেছন পেছন হেঁটে ভিজে বাসায় এসেছি। একই অবস্থা আজ প্রায় সব সাধারণ চাকরিজীবীর। একদিকে বাড়ি ফেরার তাড়া, অন্যদিকে বৃষ্টি। এর সঙ্গে যানজট যেন অভিশাপের মতো দেখা দিয়েছে। গাড়িতে বসা শান্তিনগরের একজন জানান, গাড়ির ভেতরেও পানি ঢুকে গেছে। পরে ড্রাইভারকে রেখে ময়লা পানি মাড়িয়ে হেঁটে বাসায় ফিরলাম।
আবহাওয়া অধিদফতর সকালেই জানিয়েছিল, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় অবস্থানের কারণে দেশের আকাশে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের অনেক অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই কারণে চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর এবং নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।